মিয়ানমার থেকে ফিরেছে নিহত-আহত জেলেসহ ৭২ মাঝি-মাল্লা
- আপডেট সময় : ১১:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৭১ বার পড়া হয়েছে
বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে মাছ ধরতে যাওয়া বাংলাদেশী ফিশিং ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি করে মিয়ানমারের নৌ বাহিনী। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত জেলের লাশ, গুলিবিদ্ধ ২ জেলে এবং ৬টি ট্রলারসহ ৭২ মাঝি-মাল্লা দেশে ফিরেছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর আড়াই টার দিকে নিহত জেলেকে নিয়ে একটি ট্রলার শাহপরীরদ্বীপ জেটিতে পৌঁছে আহত ২ জেলেসহ ১১ জন। অপর ৫টি ফিশিং ট্রলার বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে সেন্টমার্টিন ঘাটে পৌঁছে বলে ট্রলার মালিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নিহত জেলে মো. ওসমান গনি শাহপরীরদ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচু মিয়ার ছেলে। তিনি শাহপরীরদ্বীপের বাজারপাড়া এলাকার সাইফুল কোম্পানির মালিকাধীন ট্রলারের জেলে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ২ জেলেও ওই ট্রলারের। তবে তাদের নাম ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অপর ৫ ট্রলারের মালিক হলেন, শাহপরীরদ্বীপের মিস্ত্রীপাড়ার মুসলিম মিয়ার ছেলে মতিউর রহমানের ২টি, মৃত আলী হোছনের ছেলে আবদুল্লাহর একটি, তার ভাই আতা উল্লাহর একটি এবং উত্তরপাড়ার ছৈয়দ মাঝির ছেলে মো. আছেমের একটি।
ট্রলার মালিকরা জানান, বুধবার দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামের বঙ্গোপসাগরের মোহনায় এই ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, বুধবার দুপুর আড়াই টায় সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও মিয়ানমার মধ্যবর্তী বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে বাংলাদেশের মাছ ধরার নৌকায় মিয়ানমারের নৌবাহিনী গুলি করে এবং ৬টি ট্রলার জেলেসহ আটক করে। গুলির ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন এবং দুজন আহত হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে জেলেদের পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার সকালে জানান। পরে মিয়ানমার নৌবাহিনী বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের নিকট একটি ট্রলারসহ জেলেদের হস্তান্তর করে। বৃহস্পতিবার আড়াইটার দিকে নিহত জেলের লাশ ও ১১ জন জেলে নিয়ে একটি ট্রলার শাহপরীরদ্বীপ জেটিতে ফিরেছে। সর্বশেষ তথ্য মতে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ অন্য ৫টি ট্রলারসহ ৬০ জেলেকে আটকে রাখার খবর ছিল। এর মধ্যে ৫টি ট্রলারও ফিরেছে বলে শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি খবর নেয়া হচ্ছে।
ট্রলার মালিক মতিউর রহমান জানান, প্রথমে নিহত জেলেসহ সাইফুলের মালিকাধিন ট্রলারটি শাহপরীরদ্বীপ জেটি আসে দুপুর আড়াইটায়। বিকেল ৪টায় অপর ৫টি ট্রলারসহ জেলেরা সেন্টমার্টিন ঘাটে এসেছে। ওখানে জেলেদের সাথে আলাপ করে কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশের নৌ বাহিনী তথ্য সংগ্রহ করছে। সেন্টমার্টিন থেকে ওই ট্রলারও শাহপরীরদ্বীপ ঘাটে আনা হবে।
টেকনাফে দায়িত্বরত নৌ পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবুল কাসেম জানান, সাগরে গুলিতে নিহত জেলের লাশ কোস্টগার্ডের পক্ষে হস্তান্তর করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হচ্ছে।