ঢাকা ০৯:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জেলে হত্যার ঘটনায় মিয়ানমার সরকারের কাছে বাংলাদেশের প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:৩০:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৬৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সেন্টমার্টিনের কাছে বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলার লক্ষ্য করে মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে জেলে নিহতের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ (শুক্রবার, ১১ অক্টোবর) ঢাকাস্থ মিয়ানমারের দূতাবাসে পত্র পাঠিয়ে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রতিবাদ বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশ এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের কাছে মাছ ধরার সময় উসমানের নৌকাসহ ছয়টি মাছ ধরার নৌকা ও ৫৮ জন বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও মিয়ানমার নৌবাহিনীর মধ্যে যোগাযোগের পর অবশেষে গতকাল দুই দফায় নৌকাসহ জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারকে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ানমারকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের জলসীমার অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ সম্মান জানানো এবং আর কোনো উসকানি থেকে বিরত থাকার জন্য স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিবাদ বার্তায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দাদের কয়েকটি ট্রলারে গুলিবর্ষণ ও অপহরণের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নৌকা টার্গেট করে গুলি ছোড়ে মিয়ানমারের নৌবাহিনী। এতে ঘটনাস্থলেই এক জেলে নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহন হন আরো তিনজন।

নিহত জেলের নাম মো. ওসমান। তিনি শাহপরীর দ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচু মিয়ার ছেলে। এ সময় পাঁচ ট্রলারসহ ৬০ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার নৌবাহিনী। গতকাল ধরে নিয়ে যাওয়া মাঝিমাল্লা ও পাঁচটি ট্রলার ফিরিয়ে দেয় মিয়ানমার নৌবাহিনী।

নিউজটি শেয়ার করুন

জেলে হত্যার ঘটনায় মিয়ানমার সরকারের কাছে বাংলাদেশের প্রতিবাদ

আপডেট সময় : ০১:৩০:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

সেন্টমার্টিনের কাছে বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলার লক্ষ্য করে মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে জেলে নিহতের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ (শুক্রবার, ১১ অক্টোবর) ঢাকাস্থ মিয়ানমারের দূতাবাসে পত্র পাঠিয়ে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রতিবাদ বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশ এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের কাছে মাছ ধরার সময় উসমানের নৌকাসহ ছয়টি মাছ ধরার নৌকা ও ৫৮ জন বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও মিয়ানমার নৌবাহিনীর মধ্যে যোগাযোগের পর অবশেষে গতকাল দুই দফায় নৌকাসহ জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারকে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ানমারকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের জলসীমার অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ সম্মান জানানো এবং আর কোনো উসকানি থেকে বিরত থাকার জন্য স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিবাদ বার্তায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দাদের কয়েকটি ট্রলারে গুলিবর্ষণ ও অপহরণের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নৌকা টার্গেট করে গুলি ছোড়ে মিয়ানমারের নৌবাহিনী। এতে ঘটনাস্থলেই এক জেলে নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহন হন আরো তিনজন।

নিহত জেলের নাম মো. ওসমান। তিনি শাহপরীর দ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচু মিয়ার ছেলে। এ সময় পাঁচ ট্রলারসহ ৬০ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার নৌবাহিনী। গতকাল ধরে নিয়ে যাওয়া মাঝিমাল্লা ও পাঁচটি ট্রলার ফিরিয়ে দেয় মিয়ানমার নৌবাহিনী।