বিষাদের সুরে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে দূর্গাকে বিদায় জানাতে প্রস্তুত রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ঘাট। আগামী সোমবার (১৪ অক্টোবর) প্রতিমা বিসর্জন হলেও, বেশ কয়েকটি স্থানে একদিন আগেই বিসর্জন হয়। এদিকে, সিঁদুর দানের মধ্য দিয়ে উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগানে মেতে ওঠে কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ি। রীতি ও প্রথা অনুযায়ী সিঁদুর খেলায় মাতেন নারীরা।
আগামীর অপেক্ষায় এবার দূর্গাকে অশ্রুসিক্ত নয়নে বিদায় জানাচ্ছেন পশ্চিবঙ্গের মানুষ। বিসর্জনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিভিন্ন ঘাট। পঞ্জিকা মেনে প্রতিমা বিসর্জন একদিন পরে করার উদ্যোগ নিয়েছে বেশ কয়েকটি পূজা কমিটি।
তবে নবদ্বীপের ফাসিতলা ও পোড়ামা প্রাঙ্গণে দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন দিয়েছে একাধিক পরিবার। বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে শহরের বিভিন্ন পথ ঘুরে গঙ্গার ঘাটে বিসর্জন দেয়া হয় দুর্গা প্রতিমার।
প্রতিমা বিসর্জন দিতে আসা একজন বলেন, 'মা তো চলে গেলো, আমি সামনে দাঁড়িয়ে থেকে। আমার খুব কষ্ট লাগে, কান্না পায় মা যখন চলে যায়। সেজন্য দূরে দাঁড়িয়ে থাকি।'
অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোতায়েন আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গঙ্গা থেকে কাঠামো তুলে নেয়ার প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নানা ব্যবস্থা।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর ও কলকাতার রাজবাড়িতে ঐতিহ্য মেনে ভিন্ন সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেন নারীরা। প্রতীকী ছবি হাতে জাস্টিস চাইলেন কৃষ্ণনগরের রানীমা অমৃতা রায়।
তিনি বলেন, 'সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে আমরা যেন এই সমাজ থেকে অর্থাৎ বিকৃত সমাজ থেকে বেরিয়ে আসতে পারি। যেন এরকম অভয়াকান্ড আর না ঘটে।'
বিদায় বেলায় সিঁদুর দানের মধ্যে দিয়ে বাড়ির মেয়ে বা বউ এমনকি নাবালিকারা যেন অত্যাচারের শিকার না হয়, সেই প্রার্থনাই করা হয়।