ঢাকা ০৪:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেশের ৩০% মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে কম খাচ্ছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৩১:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের ২০ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। সিলেট ও বরিশাল অঞ্চলে এ হার সবচেয়ে বেশি, ২৪ শতাংশ। এতে আরও বলা হয়, পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে প্রয়োজনের চেয়ে কম খাদ্য গ্রহণ করছে দেশের ৩০ শতাংশ জনগোষ্ঠী।

দেশের আট বিভাগের ১ হাজার ২০০ জনের ওপর পরিচালিত এক জরিপের ভিত্তিতে জাতিসংঘ বলছে, সাম্প্রতিক বন্যায় কৃষি ও অর্থনীতির ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ। প্রয়োজনীয় পরিমানে খাদ্য সংস্থান করতে পারছে না জনগোষ্ঠীর ৩০ শতাংশ। আর নিম্ন আয়ের মানুষের ক্ষেত্রে এ হার প্রায় ৩৬ শতাংশ।

খাদ্য ব্যয় সংকোচন করে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন দেশের ২৯ শতাংশ মানুষ।

জাতিসংঘের জরিপ বলছে, খাদ্য কেনার জন্য ৪২ শতাংশ মানুষকে বিভিন্ন সময়ে ঋণ করতে হচ্ছে। আর খাবার কেনার খরচ মেটাতে গিয়ে স্বাস্থ্যব্যয় কমিয়েছেন ২৬ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া ১৭ শতাংশ বাধ্য হচ্ছেন সঞ্চয় ভাঙতে। নানা ধরনের সহায়তার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে ১৫ শতাংশ মানুষকে।

খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ধারাবাহিকতায় দেশে অপুষ্টি ও রোগব্যাধির প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ফলে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

সবশেষ সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১৮ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে। আর এসব মানুষের মধ্যে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা সবচেয়ে বেশি।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশের ৩০% মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে কম খাচ্ছেন

আপডেট সময় : ১০:৩১:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

দেশের ২০ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। সিলেট ও বরিশাল অঞ্চলে এ হার সবচেয়ে বেশি, ২৪ শতাংশ। এতে আরও বলা হয়, পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে প্রয়োজনের চেয়ে কম খাদ্য গ্রহণ করছে দেশের ৩০ শতাংশ জনগোষ্ঠী।

দেশের আট বিভাগের ১ হাজার ২০০ জনের ওপর পরিচালিত এক জরিপের ভিত্তিতে জাতিসংঘ বলছে, সাম্প্রতিক বন্যায় কৃষি ও অর্থনীতির ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ। প্রয়োজনীয় পরিমানে খাদ্য সংস্থান করতে পারছে না জনগোষ্ঠীর ৩০ শতাংশ। আর নিম্ন আয়ের মানুষের ক্ষেত্রে এ হার প্রায় ৩৬ শতাংশ।

খাদ্য ব্যয় সংকোচন করে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন দেশের ২৯ শতাংশ মানুষ।

জাতিসংঘের জরিপ বলছে, খাদ্য কেনার জন্য ৪২ শতাংশ মানুষকে বিভিন্ন সময়ে ঋণ করতে হচ্ছে। আর খাবার কেনার খরচ মেটাতে গিয়ে স্বাস্থ্যব্যয় কমিয়েছেন ২৬ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া ১৭ শতাংশ বাধ্য হচ্ছেন সঞ্চয় ভাঙতে। নানা ধরনের সহায়তার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে ১৫ শতাংশ মানুষকে।

খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ধারাবাহিকতায় দেশে অপুষ্টি ও রোগব্যাধির প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ফলে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

সবশেষ সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১৮ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে। আর এসব মানুষের মধ্যে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা সবচেয়ে বেশি।