ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভারত পেঁয়াজের রপ্তানি শুল্ক কমালেও প্রভাব নেই বাংলাদেশের বাজারে

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৬১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারত রপ্তানিতে শুল্ক কমানোর পরও দেশের বাজারে কমছে না পেঁয়াজের দাম। দুর্গাপূজা উপলক্ষে পণ্যটির আমদানি বন্ধের খবরে আরও ১০ থেকে ১২ টাকা দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দেশি পেঁয়াজের দামও বাড়তি। ফলে এখনও রাজধানীর বাজারগুলোতে অস্থির পেঁয়াজের দাম।

কয়েক মাস ধরেই দেশের বাজারে চড়া পেঁয়াজের দাম। এদিকে কিছুদিন আগে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেয়। এতে দেশে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমবে বলে অনেকে মনে করেছিলেন। কিন্তু হলো উল্টা। বাজারে এর কোনো প্রভাব পরেনি।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিলিতেও আমদানি বন্ধের খবরে ব্যবসায়ীরা বাড়িয়েছেন পেঁয়াজের দাম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত ৯ তারিখের আগেও যে পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা এখন কেজিতে ৯০ থেকে ৯২ টাকা।

এদিকে পাবনার পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাবনার পাইকার বাজারে প্রতিমণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকায়। যার দাম খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পড়ছে ১১০ টাকা।

এসব কিছুর পরিপ্রেক্ষিতে, রাজধানীর পাইকারি বাজারেও বাড়তি পেঁয়াজের দাম। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১৮ টাকায় আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯২ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে পেঁয়াজ আমদানি কম। সে তুলনায় বিক্রেতার সংখ্যা বেশি। বেশি দামে কিনে আবার বেশি দামে বিক্রি করা হয়।

পেঁয়াজ আমদানিকারক আবদুল মাজেদ বলেন, ‘পূজার বন্ধ শেষে আবার পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে বাজার অনেকটা স্থিতিশীল হবে বলে আশা করা যায়।’

এ পরিস্থিতিতে, বাজারে এসেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, বাজারে একটা অদৃশ্য সিন্ডিকেট কাজ করছে। এ সরকারের মূল চ্যালেঞ্জই হলো এই সিন্ডিকেট ভাঙা।

আর ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েক মাসের মধ্যে আগাম বা মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ আবাদ শুরু হবে। এ সময় দেশের বাজারে দামও কিছু কমে আসবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারত পেঁয়াজের রপ্তানি শুল্ক কমালেও প্রভাব নেই বাংলাদেশের বাজারে

আপডেট সময় : ০১:৫৪:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

ভারত রপ্তানিতে শুল্ক কমানোর পরও দেশের বাজারে কমছে না পেঁয়াজের দাম। দুর্গাপূজা উপলক্ষে পণ্যটির আমদানি বন্ধের খবরে আরও ১০ থেকে ১২ টাকা দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দেশি পেঁয়াজের দামও বাড়তি। ফলে এখনও রাজধানীর বাজারগুলোতে অস্থির পেঁয়াজের দাম।

কয়েক মাস ধরেই দেশের বাজারে চড়া পেঁয়াজের দাম। এদিকে কিছুদিন আগে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেয়। এতে দেশে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমবে বলে অনেকে মনে করেছিলেন। কিন্তু হলো উল্টা। বাজারে এর কোনো প্রভাব পরেনি।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিলিতেও আমদানি বন্ধের খবরে ব্যবসায়ীরা বাড়িয়েছেন পেঁয়াজের দাম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত ৯ তারিখের আগেও যে পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা এখন কেজিতে ৯০ থেকে ৯২ টাকা।

এদিকে পাবনার পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাবনার পাইকার বাজারে প্রতিমণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকায়। যার দাম খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পড়ছে ১১০ টাকা।

এসব কিছুর পরিপ্রেক্ষিতে, রাজধানীর পাইকারি বাজারেও বাড়তি পেঁয়াজের দাম। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১৮ টাকায় আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯২ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে পেঁয়াজ আমদানি কম। সে তুলনায় বিক্রেতার সংখ্যা বেশি। বেশি দামে কিনে আবার বেশি দামে বিক্রি করা হয়।

পেঁয়াজ আমদানিকারক আবদুল মাজেদ বলেন, ‘পূজার বন্ধ শেষে আবার পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে বাজার অনেকটা স্থিতিশীল হবে বলে আশা করা যায়।’

এ পরিস্থিতিতে, বাজারে এসেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, বাজারে একটা অদৃশ্য সিন্ডিকেট কাজ করছে। এ সরকারের মূল চ্যালেঞ্জই হলো এই সিন্ডিকেট ভাঙা।

আর ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েক মাসের মধ্যে আগাম বা মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ আবাদ শুরু হবে। এ সময় দেশের বাজারে দামও কিছু কমে আসবে।