ঢাকা ০৩:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইতিহাস গড়লো ইলন মাস্কের মহাকাশ যান স্পেসএক্স

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৬৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেটের একটি অংশ এই প্রথমবার লঞ্চ প্যাডে ফিরে এসেছে। যা বিশ্বে এবারই প্রথম। এরই মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়লো মাস্কের মহাকাশ যান স্পেসএক্স । খবর বিবিসি

পাঁচবারের প্রচেষ্ঠায় সফল হয়েছে স্পেসএক্স। এর আগে চারবার এ কাজে ব্যর্থ হয়েছে মহাকাশ নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্বে তৈরি হওয়া এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট স্টারশিপের দুটি অংশ। একটি হচ্ছে ‘সুপার হেভি বুস্টার’ নামের তরল গ্যাসের জ্বালানিচালিত রকেট। আর অপর অংশটি হল ‘স্টারশিপ’ নামের মহাকাশযান – যা এই সুপার হেভি বুস্টারের ওপর বসানো আছে।

স্টারশিপ রকেট ১০০ টনের বেশি যন্ত্রপাতি বা ১০০ জন আরোহী বহন করতে পারে। আর সুপার হেভি বুস্টারে আছে ৩৩টি ইঞ্জিন, যা মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আর্টিমেস রকেটের চেয়ে দ্বিগুণ শক্তিশালী।

গতকাল রোববার (১৩ অক্টোবর) টেক্সাসের বোকা চিকা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে রকেটটির প্রথম-ধাপের সুপার হেভি বুস্টারটি স্থানীয় সময় সকাল ৭ টা ২৫ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি আকাশে উড়ে যাওয়ার পর এক পর্যায়ে এর দ্বিতীয়-ধাপের স্টারশিপ রকেটটি আলাদা হয়ে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমে ভারত মহাসাগরে পড়ে। আর সুপার হেভি বুস্টারটি ফিরে আসে স্পেস এক্সের সেই টাওয়ারে যেখান থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।

উৎক্ষেপণ টাওয়ারের রোবোটিক শাখা ‘চপস্টিক’ তখন বুস্টারটিকে ধরে ফেলে। আর সঙ্গে সঙ্গেই আনন্দ প্রকাশ করে এক্সে স্পেস এক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক লেখেন “টাওয়ার রকেটটিকে ধরে ফেলেছে!”

ইলন মাস্কের স্বপ্ন হল, অন্যগ্রহে মানুষের বসতি স্থাপন করতে যাওয়ার উপযোগী রকেট তৈরি করা। যা বার বার ব্যবহার করা যাবে এবং একেকবারে শ’খানেক মানুষকে মঙ্গলগ্রহ ও চাঁদে নিয়ে যাওয়া যাবে। তাই এর উপযোগী করেই বানানো হয়েছে স্টারশিপ রকেটকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইতিহাস গড়লো ইলন মাস্কের মহাকাশ যান স্পেসএক্স

আপডেট সময় : ১২:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেটের একটি অংশ এই প্রথমবার লঞ্চ প্যাডে ফিরে এসেছে। যা বিশ্বে এবারই প্রথম। এরই মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়লো মাস্কের মহাকাশ যান স্পেসএক্স । খবর বিবিসি

পাঁচবারের প্রচেষ্ঠায় সফল হয়েছে স্পেসএক্স। এর আগে চারবার এ কাজে ব্যর্থ হয়েছে মহাকাশ নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্বে তৈরি হওয়া এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট স্টারশিপের দুটি অংশ। একটি হচ্ছে ‘সুপার হেভি বুস্টার’ নামের তরল গ্যাসের জ্বালানিচালিত রকেট। আর অপর অংশটি হল ‘স্টারশিপ’ নামের মহাকাশযান – যা এই সুপার হেভি বুস্টারের ওপর বসানো আছে।

স্টারশিপ রকেট ১০০ টনের বেশি যন্ত্রপাতি বা ১০০ জন আরোহী বহন করতে পারে। আর সুপার হেভি বুস্টারে আছে ৩৩টি ইঞ্জিন, যা মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আর্টিমেস রকেটের চেয়ে দ্বিগুণ শক্তিশালী।

গতকাল রোববার (১৩ অক্টোবর) টেক্সাসের বোকা চিকা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে রকেটটির প্রথম-ধাপের সুপার হেভি বুস্টারটি স্থানীয় সময় সকাল ৭ টা ২৫ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি আকাশে উড়ে যাওয়ার পর এক পর্যায়ে এর দ্বিতীয়-ধাপের স্টারশিপ রকেটটি আলাদা হয়ে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমে ভারত মহাসাগরে পড়ে। আর সুপার হেভি বুস্টারটি ফিরে আসে স্পেস এক্সের সেই টাওয়ারে যেখান থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।

উৎক্ষেপণ টাওয়ারের রোবোটিক শাখা ‘চপস্টিক’ তখন বুস্টারটিকে ধরে ফেলে। আর সঙ্গে সঙ্গেই আনন্দ প্রকাশ করে এক্সে স্পেস এক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক লেখেন “টাওয়ার রকেটটিকে ধরে ফেলেছে!”

ইলন মাস্কের স্বপ্ন হল, অন্যগ্রহে মানুষের বসতি স্থাপন করতে যাওয়ার উপযোগী রকেট তৈরি করা। যা বার বার ব্যবহার করা যাবে এবং একেকবারে শ’খানেক মানুষকে মঙ্গলগ্রহ ও চাঁদে নিয়ে যাওয়া যাবে। তাই এর উপযোগী করেই বানানো হয়েছে স্টারশিপ রকেটকে।