ঢাকা ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভারতীয় হাইকমিশনারকে সন্দেহভাজন ঘোষণা করলো কানাডা

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৫১:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৯৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মাসহ একাধিক ভারতীয় কূটনীতিককে সন্দেহভাজন হিসেবে ঘোষণা করেছে কানাডা। কূটনীতিকদের সে দেশের একটি তদন্তে ‘পার্সন অব ইন্টারেস্ট’ বা সন্দেহভাজন হিসেবে ঘোষণা করার পর দু’দেশের সম্পর্ক চরম অবনতির স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।

কোন মামলার তদন্তে এই পদক্ষেপ, সেটা স্পষ্ট না-করা হলেও গত বছরের জুনে কানাডার নাগরিক ও শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের ঘটনার সাথেই এটি সংশ্লিষ্ট বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারত জানিয়েছে, রোববার (১৩ অক্টোবর) একটি ‘ডিপ্লোম্যাটিক কমিউনিকেশন’ বা কূটনৈতিক বার্তার মাধ্যমে কানাডা সরকার তাদেরকে এ কথা জানিয়েছে।

এরপরই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার (১৪ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে কানাডার বক্তব্যকে অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। সেইসাথে দিল্লিতে নিযুক্ত কানাডার সর্বোচ্চ কূটনীতিবিদ বা চার্জ-দ্য-অ্যাফেয়ারকেও সমন পাঠিয়ে তলব করা হয়েছে। এসময় কানাডায় নিযুক্ত বারতীয় হাইকমিশনারকে প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারত।

হরদীপ সিং নিজ্জর ছিলেন কানাডীয় নাগরিক। যাকে হত্যার পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার যোগসূত্র আছে বলে অভিযোগ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ১৯৯৭ সালে কানাডায় অভিবাসী হওয়া নিজ্জর ২০১৫ সালে কানাডীয় নাগরিকত্ব পান। তিনি ভারতের ভেতরে ‘খালিস্তান’ নামে একটি আলাদা শিখ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে আন্দোলন করছিলেন। ভারত তাকে সন্ত্রাসবাদ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে খুঁজছিল। ২০২৩ সালের জুনে কানাডার ভ্যাংকুভারে একটি শিখ মন্দিরের পার্কিং লটে নিজ্জরকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় চারজন ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানী পৌঁছেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতীয় হাইকমিশনারকে সন্দেহভাজন ঘোষণা করলো কানাডা

আপডেট সময় : ১০:৫১:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মাসহ একাধিক ভারতীয় কূটনীতিককে সন্দেহভাজন হিসেবে ঘোষণা করেছে কানাডা। কূটনীতিকদের সে দেশের একটি তদন্তে ‘পার্সন অব ইন্টারেস্ট’ বা সন্দেহভাজন হিসেবে ঘোষণা করার পর দু’দেশের সম্পর্ক চরম অবনতির স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।

কোন মামলার তদন্তে এই পদক্ষেপ, সেটা স্পষ্ট না-করা হলেও গত বছরের জুনে কানাডার নাগরিক ও শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের ঘটনার সাথেই এটি সংশ্লিষ্ট বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারত জানিয়েছে, রোববার (১৩ অক্টোবর) একটি ‘ডিপ্লোম্যাটিক কমিউনিকেশন’ বা কূটনৈতিক বার্তার মাধ্যমে কানাডা সরকার তাদেরকে এ কথা জানিয়েছে।

এরপরই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার (১৪ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে কানাডার বক্তব্যকে অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। সেইসাথে দিল্লিতে নিযুক্ত কানাডার সর্বোচ্চ কূটনীতিবিদ বা চার্জ-দ্য-অ্যাফেয়ারকেও সমন পাঠিয়ে তলব করা হয়েছে। এসময় কানাডায় নিযুক্ত বারতীয় হাইকমিশনারকে প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারত।

হরদীপ সিং নিজ্জর ছিলেন কানাডীয় নাগরিক। যাকে হত্যার পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার যোগসূত্র আছে বলে অভিযোগ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ১৯৯৭ সালে কানাডায় অভিবাসী হওয়া নিজ্জর ২০১৫ সালে কানাডীয় নাগরিকত্ব পান। তিনি ভারতের ভেতরে ‘খালিস্তান’ নামে একটি আলাদা শিখ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে আন্দোলন করছিলেন। ভারত তাকে সন্ত্রাসবাদ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে খুঁজছিল। ২০২৩ সালের জুনে কানাডার ভ্যাংকুভারে একটি শিখ মন্দিরের পার্কিং লটে নিজ্জরকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় চারজন ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানী পৌঁছেছে।