ফিট থাকতে যা মেনে চলেন জেনিফার লোপেজ
- আপডেট সময় : ১২:১৩:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে
‘আমি প্রায়ই আমার পুরনো ছবিগুলো দেখি, আর নিজেকে বলি, এখনই আমাকে আগের চেয়ে ভালো দেখায়’, এক সাক্ষাৎকারে নিজের প্রসঙ্গে এভাবেই বলেছেন হলিউডের গায়িকা-অভিনেত্রী জেনিফার লোপেজ।
বয়স তাঁর ৫০ পেরিয়েছে আরও বছর পাঁচেক আগে। অথচ জেনিফারের ফিটনেস, উদ্দীপনা, এনার্জি হার মানাবে এখনকার তরুণদেরও। কী করে জেনিফার এতখানি ফিটনেস ধরে রেখেছেন চলুন জেনে নেওয়া যাক।
সকালের নাস্তা সব সময় ফলের রস বা মিল্ক শেক দিয়ে শুরু করেন জেনিফার। গ্রিক ইয়োগার্ট, মধু, বিভিন্ন ধরনের বেরিজাতীয় ফল, দারচিনি, লেবু, প্রোটিন পাউডার, বরফের টুকরা ইত্যাদি একত্রে মিলিয়ে ব্লেন্ড করে খান ‘জেলো’। এই একটি আইটেমই সারাদিনের জন্য তাঁর শক্তির যোগান দিয়ে থাকে।
দিনভর প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন খেয়ে থাকেন তিনি। দুপুরের খাবারে থাকে মাছের সঙ্গে ব্রকোলি, জুকিনি এবং রঙিন সালাদের মিশ্রণ। স্যামন মাছ খেতে খুব একটা পছন্দ করেন না এই সুপারস্টার। সী-বাস, হেলিবাট বা কডের মতো সামুদ্রিক মাছ থাকে তাঁর মেন্যুতে।
একবারে অনেক না খেয়ে বার বার একটু করে খাওয়ার কথা বলেন জেনিফার। ডিনারে হাই প্রোটিনের সঙ্গে থাকে লো কার্ব কম্বিনেশন। লিন প্রোটিন অর্থাৎ যে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ কম সেটি থাকে রাতের ভুঁরিভোজে। হাড়ছাড়া মুরগির মাংসের সাথে তখন থাকতে পারে মাছ ভাজা, সবুজ শাকসবজি আর উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্যশস্য কিনোয়া।
ভাতের তুলনায় কিনোয়ায় অধিক মাত্রায় ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম এবং জিংক থাকে। এমনকি ব্রাউন রাইসের চেয়েও বেশি ফাইবার আছে এতে। স্বাভাবিকভাবেই জেনিফারের ঝোঁক তাই এমন খাবারের প্রতি বেশি।
সালাদের ওপরে ছিটানো টপিং থেকে প্রয়োজনীয় হেলদি ফ্যাটের চাহিদা মিটে যায় এই ‘অন দ্য ফ্লোর’ তারকার। মাঝেমধ্যে উল্টোপাল্টা বা অস্বাস্থ্যকর খাবারের ইচ্ছাও যে জাগে না তা বলা যাবে না! সেই ক্রেভিংস সামলাতে জেনিফার সঙ্গে সব সময় ফল রাখেন।
দিনে প্রচুর পানি পান করেন এই তারকা। এক টিভি শোতে জেনিফার লোপেজ বলেন, ‘বিশ্বাস করুন বা নাই করুন, পানি ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক।’ সাধারণ পানির পাশাপাশি ডাবের পানিও দারুণ পছন্দ করেন তিনি।
আবার ওয়ার্কআউটের সময় বাড়তি এনার্জির জন্য ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকে ভরসা জেনিফারের। জিরো সুগার আর লো ক্যালরির ‘বডি আরমার লাইট’ ড্রিংক হাতে তাই প্রায়ই দেখা যায় গায়িকাকে।
কফি আর অ্যালকোহল একেবারেই ছুঁয়ে দেখেন না এই হলিউড অভিনেত্রী। ধূমপানের প্রতিও নেই আসক্তি। জেনিফারের মতে, এসব ত্বককে দ্রুত বুড়িয়ে ফেলে। ফলে সময়ের আগেই মুখে বয়সের ছাপ চলে আসে।
খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত অ্যাপল সাইডার ভিনেগার আর অশ্বগন্ধা নির্যাসের সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেন জেনিফার। কেটি পেরি, ভিক্টোরিয়া বেকহাম, স্কারলেট জোহানসনের মতো তারকারাও ইদানীং তাদের ডায়েট রুটিনে সাপ্লিমেন্টস যোগ করছেন।
জেনিফার লোপেজ ঘাম ঝরাতে ভালোবাসেন। সকালে উঠেই তাঁর প্রথম কাজ শরীরচর্চা। সপ্তাহে অন্তত তিন-চারবার জিমে গিয়ে ওয়ার্কআউট করেন এই অভিনেত্রী। শরীরচর্চার মধ্য দিয়েই নিজের জন্য অনুপ্রেরণা খুঁজে নেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
জেনিফার বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় শরীরচর্চা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে একটি ইতিবাচক সংযোগ রয়েছে।’ কার্ডিও, ওয়েট লিফটিং, স্ট্রেংথ ট্রেনিং-তিনটিতেই সমান জোর দেন তিনি।
গায়িকা হিসেবে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছলেও জেনিফারের নাচের ভক্তও কম নয়। মাঝেমধ্যেই ওয়ার্কআউটের সঙ্গে তাই নানা রকম নাচ জুড়ে দেন তিনি। তথ্যসূত্র: হেলদি লং লাইফ