সম্প্রতি ‘আয়নাঘর’ শব্দটির প্রচলন চারদিকে বেশ জোরালো হচ্ছে। মূলত শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আলোচনায় আসে আয়নাঘর। অভিযোগও ওঠে যে সেখানে সরকার বিরোধীদের বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হতো। সাবেক নারী ফুটবলারদের সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে বাফুফের নারী ক্যাম্পেও এমন আয়নাঘর রয়েছে। জাতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন।
সাফ মিশনে কাঠমান্ডু যাওয়ার আগে বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে আয়নাঘর প্রসঙ্গ উঠলে সাবিনা বলেন, ‘জাতীয় দলের সঙ্গে বয়স ভিত্তিক ফুটবলাররাও রয়েছে। একটি তলায় অনেক ফুটবলার তাই অনেক রুমে ৬-৭ জন করেও থাকতে হয়। একটু কষ্ট হয় অনেক ক্ষেত্রে। তবে নারীদের ক্যাম্পে এমন কিছু হয় না যে আয়নাঘর প্রসঙ্গ আসবে।’
এসময় নারী ক্যাম্পের অবদান নিয়ে বাফুফের প্রশংসা করে সাবিনা বলেন, ‘একটি ক্যাম্প চালানো অনেক কষ্টের। যারা এটি চালায় তারা জানে। নারীদের নিরবিচ্ছিন্ন ক্যাম্প না হলে ২০২২ সালে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া যেত না। সেই ২০১০-১২ সালের দিকে টুর্নামেন্টের এক মাস আগে ক্যাম্প ও ৫-৬ গোলে হারার ঘটনাই ঘটত নিয়মিত ক্যাম্প না হলে।’
উল্লেখ্য, গত এক দশক ধরে বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। তার সীমাবদ্ধতা ও সফলতা সম্পর্কে সাবিনা জানান, ‘অনেক কিছুই করার ইচ্ছে ছিল আর্থিক সীমাবদ্ধতার জন্য হয়নি। বিশেষ করে ফিফা উইন্ডোতে দেশে ম্যাচ খেলতে ৩০-৪০ লাখ, বিদেশে গেলে আরও বেশি অর্থ প্রয়োজন। যা সব সময় আমরা জোগাড় করতে পারিনি। সরকার ও পৃষ্ঠপোষক থেকে সহায়তা পেলে এই অপূর্ণতা ভবিষ্যতে পূরণ হতে পারে।’
এসময় নারী ফুটবলের অগ্রগতির পেছনে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের অবদানের কথা স্বীকার করেন সাবিনা। তিনি এও উল্লেখ করেন, তার সহায়তা ছাড়া নারী ফুটবল এই পর্যায়ে আসতে পারতো না।