কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষা না দিয়ে এবছর এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মেধার মানে কিছুটা পিছিয়ে পড়বে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা। দুবছর আগে করোনার কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরাই এবছর কয়েকটি পরীক্ষা না দিয়ে এইচএসসি উত্তীর্ণ হয়েছে। এজন্য শিক্ষার্থীদের নিজ দায়িত্বে ঘাটতি পূরণের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বিদেশে উচ্চ শিক্ষায় কোনো সমস্যা না হলেও দেশের নামী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে তাদের ভীষণ প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হবে বলে মনে করেন শিক্ষা গবেষকরা।
ছাত্র জনতার আন্দোলনের কারণে এবছর এইচএসসি ও সমানের ১৩টি পরীক্ষার মধ্যে বিষয়ভিত্তিক ৬টি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষা না দিতে পারা বিষয়ের ক্ষেত্রে ম্যাপিং সিস্টেম অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের মুল্যায়ন করা হয়েছে। এবছর এইচএসসি পাশ করা শিক্ষার্থীরা দুই বছর আগে করোনার কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষা জীবনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট কারণে ব্যাঘাত ঘটায় শিক্ষার্থীদের মেধা যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা যায়নি। পরীক্ষা না নিয়ে শিক্ষার্থীদের পরবর্তি ধাপে উত্তীর্ণ করা প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে অন্তর্ঘাত মূলক সিদ্ধান্ত বলেও মনে করেন গবেষকরা।
এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন। আর দেশে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ রয়েছে ১৫ লাখ শিক্ষার্থীর। সেই হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে তাদের কোন আসন সংকট নেই। তবে ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেতে প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হবে। কেউ বিদেশে উচ্চ শিক্ষা নিতে চাইলে মূল্যায়নের ধরনের জন্য কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান।
বিশেষ পরিস্থিতিতে এএসসি ও এইচএসসির ঘাটতি পুরণের শিক্ষার্থীদের নিজ উদ্যোগে আরো বেশী পাঠ চর্চার পরামর্শ দেন শিক্ষা গবেষকরা।