ঢাকা ১০:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যুক্তরাষ্ট্রের কথা শুনব, তবে সিদ্ধান্ত নেবে ইসরাইল

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:০০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইরানের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো অভিমত বা পরামর্শ দেয়, তাহলে তা শুনলেও এ ইস্যুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইসরাইল। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ইরান ইস্যুতে অবস্থান সম্পর্কে এমনটাই জানিয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের মতামত শুনব, তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমরাই নেব এবং সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে ইসরাইলের জাতীয় স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে।’ গাজা, লেবানন ও সিরিয়ায় হামলা এবং হামাস, হিজবুল্লাহ ও আইআরজিসির কমান্ডারদের হত্যার জবাবে গত ১ অক্টোবর ইসরাইলে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এরপর থেকে ইসরাইলি শীর্ষ কর্মকর্তারা ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের হুঙ্কার দিয়ে আসছেন।

ইসরাইল বলেছে, তারা এর প্রতিশোধ নেবে। যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে, এ নিয়ে উত্তেজনা যাতে না বাড়ে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব হিসেবে দেশটির তেল স্থাপনায় হামলা না করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। দুটি সূত্রের বরাতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বাস দিয়েছেন যে, তার দেশ ইরানের সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলোর ওপর প্রতিশোধমূলক হামলা চালাবে। ইরানি পারমাণবিক ও তেল স্থাপনাগুলোকে টার্গেট করা হবে না। এদিকে মঙ্গলবারও লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে দফায় দফায় হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা। এতে হতাহত হন অনেকে। বোমাবর্ষণে শিশুসহ বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে পূর্বাঞ্চলীয় বেকা উপত্যকার রিয়াক শহরে। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চত করে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জবাবে ইসরাইলি ভূখন্ড লক্ষ্য করে প্রায় ১০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। রামিয়াহ শহরে বেশ কয়েকটি ট্যাংক ও বুলডোজার ধ্বংসের পাশাপাশি সেনা সদস্যে নিহতের দাবি করেছে তারা। দখলদারদের লক্ষ্য করে করা হয় নিক্ষেপ ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবর্ষণ। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ইসরাইলের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন হিজবুল্লাহর উপ প্রধান নাঈম কাসেম। তিনি বলেন, চলমান যুদ্ধের একমাত্র সমাধান হলো যুদ্ধবিরতি। চুক্তি হলে তবেই উত্তর ইসরাইলের বাসিন্দাদের ঘরে ফেরার পথ তৈরি হবে। তবে তেল আবিব যদি যুদ্ধ বিরতি না চায়, তাহলে তারাও থামবেন না। হিজবুল্লাহকে পরাজিত করা যাবে না বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের কথা শুনব, তবে সিদ্ধান্ত নেবে ইসরাইল

আপডেট সময় : ০২:০০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

ইরানের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো অভিমত বা পরামর্শ দেয়, তাহলে তা শুনলেও এ ইস্যুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইসরাইল। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ইরান ইস্যুতে অবস্থান সম্পর্কে এমনটাই জানিয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের মতামত শুনব, তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমরাই নেব এবং সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে ইসরাইলের জাতীয় স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে।’ গাজা, লেবানন ও সিরিয়ায় হামলা এবং হামাস, হিজবুল্লাহ ও আইআরজিসির কমান্ডারদের হত্যার জবাবে গত ১ অক্টোবর ইসরাইলে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এরপর থেকে ইসরাইলি শীর্ষ কর্মকর্তারা ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের হুঙ্কার দিয়ে আসছেন।

ইসরাইল বলেছে, তারা এর প্রতিশোধ নেবে। যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে, এ নিয়ে উত্তেজনা যাতে না বাড়ে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব হিসেবে দেশটির তেল স্থাপনায় হামলা না করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। দুটি সূত্রের বরাতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বাস দিয়েছেন যে, তার দেশ ইরানের সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলোর ওপর প্রতিশোধমূলক হামলা চালাবে। ইরানি পারমাণবিক ও তেল স্থাপনাগুলোকে টার্গেট করা হবে না। এদিকে মঙ্গলবারও লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে দফায় দফায় হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা। এতে হতাহত হন অনেকে। বোমাবর্ষণে শিশুসহ বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে পূর্বাঞ্চলীয় বেকা উপত্যকার রিয়াক শহরে। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চত করে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জবাবে ইসরাইলি ভূখন্ড লক্ষ্য করে প্রায় ১০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। রামিয়াহ শহরে বেশ কয়েকটি ট্যাংক ও বুলডোজার ধ্বংসের পাশাপাশি সেনা সদস্যে নিহতের দাবি করেছে তারা। দখলদারদের লক্ষ্য করে করা হয় নিক্ষেপ ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবর্ষণ। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ইসরাইলের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন হিজবুল্লাহর উপ প্রধান নাঈম কাসেম। তিনি বলেন, চলমান যুদ্ধের একমাত্র সমাধান হলো যুদ্ধবিরতি। চুক্তি হলে তবেই উত্তর ইসরাইলের বাসিন্দাদের ঘরে ফেরার পথ তৈরি হবে। তবে তেল আবিব যদি যুদ্ধ বিরতি না চায়, তাহলে তারাও থামবেন না। হিজবুল্লাহকে পরাজিত করা যাবে না বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি