ঢাকা ১২:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যে কারণে সরবরাহ বাড়লেও কমছে না ডিমের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:২৮:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৭৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দুই দিন আড়ত বন্ধ থাকার পর রাজধানীর তেজগাঁও পাইকারি বাজারে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ডিমের সরবরাহ। তবে দাম এখনও কমেনি। সরকারের বেধে দেয়া মূল্যেরর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। পাইকারি বাজারেই প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা ৫০ পয়সায়। খুচরা বাজারে এই দাম আরও ৩ টাকা বেশি। ব্যবসায়ীদের দাবি, রাতারাতি সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি সম্ভব নয়।

ডিমের জন্য বিখ্যাত রাজধানীর তেজগাঁও পাইকারি বাজারে দু’দিন ধরে হাহাকার থাকলেও মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই আসতে শুরু করে ডিম ভর্তি ট্রাক। তবে উৎপাদক থেকে পাইকারি পর্যায়ে আসতেই, ডিম হাত বদল হচ্ছে বেশ কয়েকবার। আর এসব হাত বদলের প্রতি স্তরে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে দাম।

সরকার উৎপাদক এবং পাইকারি ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে ডিমের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম নির্ধারণ করা দিয়েছে ১১ টাকা ৮৭ পয়সায়। কিন্তু পাইকারি বাজারেই মঙ্গলবার রাতে ডিম বিক্রি হয়েছে ১২ টাকা ৫০ পয়সায়।

পাইকারদের দাবি, সরকার একশো ডিমের দাম বেধে দিয়েছে ১১শ ৫০টাকা। সেখানে স্থানীয় বাজার থেকে কিনতে হচ্ছে ১২শ ৫০ টাকার উপরে। খুচরা বাজারে এই দাম বাড়ে আড়াই থেকে ৩ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, ডিলারদের কাছে জিম্মি হয়ে আছেন অনেক খামারের মালিক।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আড়ত বন্ধ থাকায়, রাজধানীতে ডিমের সরবরাহ নেমে এসেছে এক-তৃতীয়াংশে। স্বল্প আয়ের মানুষের আমিষের বড় উৎস ডিম। এর দাম বাড়তে শুরু করে ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে। বর্তমান সরকার সম্প্রতি সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয়। তবে এতেও ডিমের বাজার পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

যে কারণে সরবরাহ বাড়লেও কমছে না ডিমের দাম

আপডেট সময় : ০২:২৮:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

দুই দিন আড়ত বন্ধ থাকার পর রাজধানীর তেজগাঁও পাইকারি বাজারে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ডিমের সরবরাহ। তবে দাম এখনও কমেনি। সরকারের বেধে দেয়া মূল্যেরর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। পাইকারি বাজারেই প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা ৫০ পয়সায়। খুচরা বাজারে এই দাম আরও ৩ টাকা বেশি। ব্যবসায়ীদের দাবি, রাতারাতি সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি সম্ভব নয়।

ডিমের জন্য বিখ্যাত রাজধানীর তেজগাঁও পাইকারি বাজারে দু’দিন ধরে হাহাকার থাকলেও মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই আসতে শুরু করে ডিম ভর্তি ট্রাক। তবে উৎপাদক থেকে পাইকারি পর্যায়ে আসতেই, ডিম হাত বদল হচ্ছে বেশ কয়েকবার। আর এসব হাত বদলের প্রতি স্তরে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে দাম।

সরকার উৎপাদক এবং পাইকারি ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে ডিমের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম নির্ধারণ করা দিয়েছে ১১ টাকা ৮৭ পয়সায়। কিন্তু পাইকারি বাজারেই মঙ্গলবার রাতে ডিম বিক্রি হয়েছে ১২ টাকা ৫০ পয়সায়।

পাইকারদের দাবি, সরকার একশো ডিমের দাম বেধে দিয়েছে ১১শ ৫০টাকা। সেখানে স্থানীয় বাজার থেকে কিনতে হচ্ছে ১২শ ৫০ টাকার উপরে। খুচরা বাজারে এই দাম বাড়ে আড়াই থেকে ৩ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, ডিলারদের কাছে জিম্মি হয়ে আছেন অনেক খামারের মালিক।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আড়ত বন্ধ থাকায়, রাজধানীতে ডিমের সরবরাহ নেমে এসেছে এক-তৃতীয়াংশে। স্বল্প আয়ের মানুষের আমিষের বড় উৎস ডিম। এর দাম বাড়তে শুরু করে ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে। বর্তমান সরকার সম্প্রতি সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয়। তবে এতেও ডিমের বাজার পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি।