ঢাকা ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এখনও শেষ হয়নি নতুন বই পরিমার্জনের কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:৩২:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৮৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বছর শেষ হতে আর ২ মাস বাকি। কিন্তু এখনও শেষ হয়নি পাঠ্য বই পরিমার্জনের কাজ। শিক্ষা গবেষকেরা বলছেন, এতে চরম অনিশ্চয়তায় পড়তে যাচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে, ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে । দ্রুতই এটি চূড়ান্ত হবে।

চলতি বছর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রমে শ্রেণি কার্যক্রম চলছিল। এই শিক্ষাক্রম নিয়ে শুরু থেকেই ছিল নানা সমালোচনা। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এই শিক্ষাক্রম বাতিল করে শিক্ষামন্ত্রণালয়।

২০১২ সালের শিক্ষাক্রমেই আগামী বছর চলবে শ্রেণি কার্যক্রম। এরপর বিভিন্ন বিষয়ের পান্ডুলিপি সংশোধন ও পরিমার্জনের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। অথচ বছর শেষ হতে দুই মাস বাকি, শেষ হয়নি বই পরিমার্জনের কাজ। শিক্ষা গবেষকেরা বলছেন, এ অবস্থায় চরম অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষা গবেষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কারিকুলাম নির্ধারণ না করেই বই কীভাবে ছাপা হবে, কনটেন্ট কীভাবে ফিক্স হবে? বাংলাদেশ সরকারের সামনে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, এটি হবে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ৪১ সদস্যের কমিটি পরিমার্জনের কাজ করছে। কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী বছর আগের মতোই পরীক্ষা হবে। বিভাগ বিভাজনও থাকবে। শিক্ষার্থীদের তেমন কোনো সমস্যা হবে না।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলছেন, পরিমার্জনের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাক্রমকে যুগোপযোগীও করতে হবে। তবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো রুপরেখা এখনও পাওয়া যায়নি।

এনসিটিবি বলছে, ২০২৬ সালের জন্য পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম প্রস্তুত করা হবে। সে জন্য আলাদাভাবে কাজ শুরু হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এখনও শেষ হয়নি নতুন বই পরিমার্জনের কাজ

আপডেট সময় : ১২:৩২:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

বছর শেষ হতে আর ২ মাস বাকি। কিন্তু এখনও শেষ হয়নি পাঠ্য বই পরিমার্জনের কাজ। শিক্ষা গবেষকেরা বলছেন, এতে চরম অনিশ্চয়তায় পড়তে যাচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে, ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে । দ্রুতই এটি চূড়ান্ত হবে।

চলতি বছর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রমে শ্রেণি কার্যক্রম চলছিল। এই শিক্ষাক্রম নিয়ে শুরু থেকেই ছিল নানা সমালোচনা। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এই শিক্ষাক্রম বাতিল করে শিক্ষামন্ত্রণালয়।

২০১২ সালের শিক্ষাক্রমেই আগামী বছর চলবে শ্রেণি কার্যক্রম। এরপর বিভিন্ন বিষয়ের পান্ডুলিপি সংশোধন ও পরিমার্জনের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। অথচ বছর শেষ হতে দুই মাস বাকি, শেষ হয়নি বই পরিমার্জনের কাজ। শিক্ষা গবেষকেরা বলছেন, এ অবস্থায় চরম অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষা গবেষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কারিকুলাম নির্ধারণ না করেই বই কীভাবে ছাপা হবে, কনটেন্ট কীভাবে ফিক্স হবে? বাংলাদেশ সরকারের সামনে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, এটি হবে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ৪১ সদস্যের কমিটি পরিমার্জনের কাজ করছে। কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী বছর আগের মতোই পরীক্ষা হবে। বিভাগ বিভাজনও থাকবে। শিক্ষার্থীদের তেমন কোনো সমস্যা হবে না।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলছেন, পরিমার্জনের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাক্রমকে যুগোপযোগীও করতে হবে। তবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো রুপরেখা এখনও পাওয়া যায়নি।

এনসিটিবি বলছে, ২০২৬ সালের জন্য পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম প্রস্তুত করা হবে। সে জন্য আলাদাভাবে কাজ শুরু হবে।