আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার সম্প্রতি ১০০ বছর বয়সে পা রেখেছেন। সেদিন তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ভোট দিচ্ছেন এবং এটি তিনি সত্যিই চিন্তা করেন। কার্টার সেন্টারের তথ্যমতে, সাবেক এই ডেমোক্র্যাট নেতা মেইলের মাধ্যমে তাঁর ভোট দিয়েছেন।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জিমি কার্টার আমেরিকার সবচেয়ে বয়স্ক সাবেক প্রেসিডেন্ট যিনি ১৯৭৭থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত, স্নায়ুযুদ্ধের যুগে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এরপর তিনি বিশ্বকূটনীতির বিষয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করার জন্য অলাভজনক সংস্থা কার্টার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন।
একজন অজনপ্রিয় নেতা হিসেবে হোয়াইট হাউস ছেড়েছিলেন কার্টার। তবে, পরে অবশ্য তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়তে দেখা যায়। কার্টারের নিজ অঙ্গরাজ্য জর্জিয়া। এই অঙ্গরাজ্যে আগাম ভোটের সুবিধাটি নিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জিমি কার্টারের ছেলে জেমস আর্ল চিপ কার্টার বলেছেন, ‘তিনি বলেছিলেন যে তিনি এটিকে পাত্তা দেন না। এটি কেবল একটি জন্মদিন। তিনি বলেছিলেন, যে তিনি কমলা হ্যারিসকে ভোট দেওয়ার বিষয়ে চিন্তা করেন।’
জিমি কার্টার তাঁর বয়স-সম্পর্কিত মাইলফলক মুহূর্তটিকে ‘শুধু আরেকটি জন্মদিন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
চিপ কার্টার আরও যোগ করে বলেছেন, তার বাবা ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কনভেনশনের বক্তৃতা দেখে তার দিনগুলি কাটিয়েছেন। তিনি ভেবেছিলেন মিশেল ওবামা সেরা, এবং তিনি ভেবেছিলেন কমলাও দুর্দান্ত করবে।
কার্টার তার ছেলে চিপকে বলেছিলেন, ‘আমি কেবল কমলা হ্যারিসকে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করছি,।’
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প সব সময় জিমি কার্টারকে ‘সবচেয়ে খারাপ প্রেসিডেন্ট’ বলে অভিমত দিয়ে এসেছেন। তবে সম্প্রতি তিনি বলেছেন, ‘জিমি কার্টারের চেয়েওজো বাইডেন আমাদের দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ প্রেসিডেন্ট।’