ঢাকা ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শেখ হাসিনাসহ ৩৫ জনের নামে হত্যাচেষ্টার মামলা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:১৯:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৭৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হামলা, ভাঙচুর ও গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীরসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু। মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক আবু সুফিয়ান মো. নোমান সদর থানার ওসিকে তা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাহাবুদ্দিন সাবু আদালতে হাজির হয়ে এ মামলা করেন। বাদীর জবানবন্দি ও আইনজীবীর দীর্ঘ শুনানি শেষে আদেশ দেন আদালত। মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক সিদ্দিকী, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক, র‌্যাবের সাবেক এডিজি মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, পুলিশের সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, সাবেক জেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম সালাউদ্দিন টিপু ও সাবেক মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূইয়া।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ভোরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কর্নেল তারেক সাইদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবুর বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এক পর্যায়ে সাহাবুদ্দিন সাবু আত্মরক্ষার জন্য পালিয়ে যেতে চাইলে তাঁকে আটক করে মারধর করা হয়। পরে হত্যার উদ্দেশ্যে পায়ে গুলি করা হয় তাঁকে।

এজাহারে আরও বলা হয়, এ খবর শুনে জেলা যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জুয়েলসহ নেতা-কর্মীরা চকবাজার এলাকায় মিছিল বের করেন। তখন র‌্যাব ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় সাইফুল ইসলাম জুয়েল, মাহাবুবু হোসেন ও শিহাবসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে র‌্যাব সদস্যরা চকবাজার এলাকা থেকে জুয়েলকে তুলে নিয়ে যান। এখনও তাঁর হদিস মেলেনি। সেদিনের পর শহরে রণক্ষেত্র তৈরি করে র‌্যাব, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে র‌্যাব সদস্যরা পুলিশ লাইনে প্রবেশ করলে সন্ধ্যায় হেলিকপ্টারে তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় দীর্ঘদিন থানায় বা আদালতে মামলা করতে গেলেও মামলা নেওয়া হয়নি। প্রায় এক যুগ পর এই ঘটনায় মামলা করা হলো।

মামলার বাদী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু বলেন, ‘১২ ডিসেম্বর ভোরে শেখ হাসিনার নির্দেশে আসামিরা বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। এক পর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়ে। চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে দেওয়া হয়নি। ন্যায় বিচারের জন্য মামলা করেছি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছে।।’ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করেন তিনি।

মামলার আইনজীবী আহাম্মদ ফেরদৌস মানিক বলেন, ‘আদালত মামলা আমলে নিয়ে সদর থানার ওসিকে তা নথিভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা ন্যায় বিচার চাই।’

নিউজটি শেয়ার করুন

শেখ হাসিনাসহ ৩৫ জনের নামে হত্যাচেষ্টার মামলা

আপডেট সময় : ০৩:১৯:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

হামলা, ভাঙচুর ও গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীরসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু। মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক আবু সুফিয়ান মো. নোমান সদর থানার ওসিকে তা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাহাবুদ্দিন সাবু আদালতে হাজির হয়ে এ মামলা করেন। বাদীর জবানবন্দি ও আইনজীবীর দীর্ঘ শুনানি শেষে আদেশ দেন আদালত। মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক সিদ্দিকী, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক, র‌্যাবের সাবেক এডিজি মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, পুলিশের সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, সাবেক জেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম সালাউদ্দিন টিপু ও সাবেক মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূইয়া।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ভোরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কর্নেল তারেক সাইদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবুর বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এক পর্যায়ে সাহাবুদ্দিন সাবু আত্মরক্ষার জন্য পালিয়ে যেতে চাইলে তাঁকে আটক করে মারধর করা হয়। পরে হত্যার উদ্দেশ্যে পায়ে গুলি করা হয় তাঁকে।

এজাহারে আরও বলা হয়, এ খবর শুনে জেলা যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জুয়েলসহ নেতা-কর্মীরা চকবাজার এলাকায় মিছিল বের করেন। তখন র‌্যাব ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় সাইফুল ইসলাম জুয়েল, মাহাবুবু হোসেন ও শিহাবসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে র‌্যাব সদস্যরা চকবাজার এলাকা থেকে জুয়েলকে তুলে নিয়ে যান। এখনও তাঁর হদিস মেলেনি। সেদিনের পর শহরে রণক্ষেত্র তৈরি করে র‌্যাব, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে র‌্যাব সদস্যরা পুলিশ লাইনে প্রবেশ করলে সন্ধ্যায় হেলিকপ্টারে তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় দীর্ঘদিন থানায় বা আদালতে মামলা করতে গেলেও মামলা নেওয়া হয়নি। প্রায় এক যুগ পর এই ঘটনায় মামলা করা হলো।

মামলার বাদী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু বলেন, ‘১২ ডিসেম্বর ভোরে শেখ হাসিনার নির্দেশে আসামিরা বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। এক পর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়ে। চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে দেওয়া হয়নি। ন্যায় বিচারের জন্য মামলা করেছি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছে।।’ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করেন তিনি।

মামলার আইনজীবী আহাম্মদ ফেরদৌস মানিক বলেন, ‘আদালত মামলা আমলে নিয়ে সদর থানার ওসিকে তা নথিভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা ন্যায় বিচার চাই।’