ঢাকা ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৪৩ থেকে ৪৬ বিসিএসের নিয়োগ বাতিলের দাবি বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৯:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৬৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

৪৩তম বিসিএসে ২ হাজার ৬৪ জনকে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিলসহ ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়াও নতুন করে শুরুর দাবি বিএনপির। একই সঙ্গে পুলিশে যোগদানের অপেক্ষায় থাকা ৮০৩ জন সাব ইন্সপেক্টরের নিয়োগ বাতিল করতেও বলছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

বৃহস্পতিবার সকালে গুলশান বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকেই রাষ্ট্র সংস্কারে প্রধান উপদেষ্টার কাছে নানা দাবি-সুপারিশ তুলে ধরছে বিএনপি।
সে ধারাবাহিকতায় এবার বিসিএসসহ নানা সরকারি নিয়োগ বাতিলের দাবি তাদের।

সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি মনে করে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সব নিয়োগই হয়েছে দলীয় বিবেচনায়।

তিনি বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের দোসর হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এবং ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর সম্প্রতি পদত্যাগকারী দলকানা পাবলিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃক সম্পূর্ণ দলীয় বিবেচনায় বিসিএস ৪৩তম ব্যাচের সুপারিশ করা ২ হাজার ৬৪ প্রার্থীকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিসিএসের বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ব্যাপকভিত্তিক যাচাই-বাছাই না করে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানে অসংখ্য প্রাণের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্ত ও নিয়োগ প্রক্রিয়া দেশের মানুষকে চরমভাবে হতভম্ব ও হতাশ করেছে এবং জনমনে প্রচন্ড ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

সালাহউদ্দিন বলেন, দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পক্ষ থেকে যেখানে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার জোর দাবি জানানো হচ্ছে, ঠিক সেই মুহুর্তে ৪৩তম বিসিএসের ঢালাও নিয়োগদানের মাধ্যমে সেই সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যদের সরকারি প্রশাসনের উচ্চতর পদসমূহে পুনর্বাসন করার এই অন্তর্ঘাতমূলক সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার পরিপন্থি এবং তা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি হাসিনা সরকারের সময় ইতোমধ্যে আবেদনকৃত ৪৪ তম বিসিএসের যে ৯০০০ জনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়েছিলো- তার মধ্যে ৩০০০ জনের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ৪৫তম বিসিএসের লিখিত উত্তরপত্রের মূল্যায়ন প্রায় শেষ পর্যায়ে। অপরদিকে ৪৬ বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে তিন মাস পূর্বে। আমরা দাবি করছি রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে প্রবেশে ফ্যাসিবাদি আওয়ামী গোষ্ঠীর এবং সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনীকে নিবৃত্ত করার লক্ষ্যে এই তিনটি বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়াসমূহ পুরোপুরি বাতিল করা হোক।’

বিসিএস ছাড়াও সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় আবারও বাড়ানোর দাবিও করছেন সালাউদ্দিন আহমেদ।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সরকারি, আধাসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিসহ ১ম শ্রেণির বিভিন্ন নন-ক্যাডার পদে নতুন চাকরি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিলো, আমরা মনে করি এসব পদে যারা ইতোমধ্যে আবেদন করেছেন, তাদের পাশাপাশি আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়ে নতুন করে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হোক।

এদিকে, জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির আরেক নেতা শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ দেশে এমন ভয়াবহ অবস্থা তৈরি করেছিল যে তাদের পালিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিলো না।

বিএনপি কারও কাছে ক্ষমতা নয়, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায় বলেও জানান দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

৪৩ থেকে ৪৬ বিসিএসের নিয়োগ বাতিলের দাবি বিএনপির

আপডেট সময় : ০৩:৪৯:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

৪৩তম বিসিএসে ২ হাজার ৬৪ জনকে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিলসহ ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়াও নতুন করে শুরুর দাবি বিএনপির। একই সঙ্গে পুলিশে যোগদানের অপেক্ষায় থাকা ৮০৩ জন সাব ইন্সপেক্টরের নিয়োগ বাতিল করতেও বলছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

বৃহস্পতিবার সকালে গুলশান বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকেই রাষ্ট্র সংস্কারে প্রধান উপদেষ্টার কাছে নানা দাবি-সুপারিশ তুলে ধরছে বিএনপি।
সে ধারাবাহিকতায় এবার বিসিএসসহ নানা সরকারি নিয়োগ বাতিলের দাবি তাদের।

সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি মনে করে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সব নিয়োগই হয়েছে দলীয় বিবেচনায়।

তিনি বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের দোসর হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এবং ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর সম্প্রতি পদত্যাগকারী দলকানা পাবলিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃক সম্পূর্ণ দলীয় বিবেচনায় বিসিএস ৪৩তম ব্যাচের সুপারিশ করা ২ হাজার ৬৪ প্রার্থীকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিসিএসের বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ব্যাপকভিত্তিক যাচাই-বাছাই না করে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানে অসংখ্য প্রাণের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্ত ও নিয়োগ প্রক্রিয়া দেশের মানুষকে চরমভাবে হতভম্ব ও হতাশ করেছে এবং জনমনে প্রচন্ড ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

সালাহউদ্দিন বলেন, দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পক্ষ থেকে যেখানে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার জোর দাবি জানানো হচ্ছে, ঠিক সেই মুহুর্তে ৪৩তম বিসিএসের ঢালাও নিয়োগদানের মাধ্যমে সেই সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যদের সরকারি প্রশাসনের উচ্চতর পদসমূহে পুনর্বাসন করার এই অন্তর্ঘাতমূলক সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার পরিপন্থি এবং তা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি হাসিনা সরকারের সময় ইতোমধ্যে আবেদনকৃত ৪৪ তম বিসিএসের যে ৯০০০ জনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়েছিলো- তার মধ্যে ৩০০০ জনের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ৪৫তম বিসিএসের লিখিত উত্তরপত্রের মূল্যায়ন প্রায় শেষ পর্যায়ে। অপরদিকে ৪৬ বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে তিন মাস পূর্বে। আমরা দাবি করছি রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে প্রবেশে ফ্যাসিবাদি আওয়ামী গোষ্ঠীর এবং সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনীকে নিবৃত্ত করার লক্ষ্যে এই তিনটি বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়াসমূহ পুরোপুরি বাতিল করা হোক।’

বিসিএস ছাড়াও সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় আবারও বাড়ানোর দাবিও করছেন সালাউদ্দিন আহমেদ।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সরকারি, আধাসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিসহ ১ম শ্রেণির বিভিন্ন নন-ক্যাডার পদে নতুন চাকরি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিলো, আমরা মনে করি এসব পদে যারা ইতোমধ্যে আবেদন করেছেন, তাদের পাশাপাশি আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়ে নতুন করে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হোক।

এদিকে, জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির আরেক নেতা শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ দেশে এমন ভয়াবহ অবস্থা তৈরি করেছিল যে তাদের পালিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিলো না।

বিএনপি কারও কাছে ক্ষমতা নয়, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায় বলেও জানান দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।