যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় আরও একটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলায় অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছে দেড় শতাধিক মানুষ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গাজার জাবালিয়ার একটি স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালালে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার স্কুলটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মেধাত আব্বাস জানিয়েছেন, আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত জাবালিয়ার আবু হুসেন স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ অন্তত ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামলায় অন্তত ১৬০ জন আহত হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী ওই এলাকায় স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে।
এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, হামাস এবং ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। স্কুলটি বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হলেও হামাস যোদ্ধারা সেখানে থেকে কাজ করছিল বলে দাবি ইসরায়েলি বাহিনীর।
অপরদিকে ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) পরিচালিত স্কুলকে যুদ্ধের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে হামাস। এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
আবু হুসেন স্কুলে হামলার পর ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, হামলার কারণে আগুন ধরে যাওয়ার পর তাঁবু থেকে ধোঁয়া বের হয়ে আসছে। এ ছাড়া শিশুসহ হতাহতদেরকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছে অনেকে।
গত দুই সপ্তাহ ধরে জাবালিয়াসহ উত্তরের অনেক এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী জোরালো অভিযান চালাচ্ছে। প্রায় চার লাখ মানুষ উত্তর গাজায় আটকা পড়েছেন এবং আকাশ থেকে বিমান হামলা আর স্থলে ট্যাক থেকে গোলা বর্ষণের কারণে তারা কোথাও যেতে পারছে না।