বৃষ্টি থামবে রোববার, আসছে লঘুচাপ
- আপডেট সময় : ০১:১১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে
রোববার পর্যন্ত সারা দেশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর তিন–চার দিনের জন্য শুষ্ক থাকবে আবহাওয়া পরিস্থিতি। মঙ্গলবারের পর সাগরে তৈরি হতে পারে লঘুচাপ। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া দেশের ছয় অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
আজ শনিবার (১৯ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানায় সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, নোয়াখালি ও কুমিল্লা অঞ্চলে ৪৫-৬০ কিলোমিটার গতিতে পশ্চিম বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে সতর্ক করতে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে আগামী ২২ শে অক্টোবর আরও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যেই লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, সেটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে এই লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না সেটি এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।
এছাড়াও এই সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে। এছাড়া সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এদিকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে
এছাড়াও আগামী কাল রোববার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সাথে পরবর্তী পাঁচ দিনের শেষের দিকে বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহওয়া অধিদপ্তর।
অন্যাদিকে, সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলা হয়েছে যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, নোয়াখালি এবং কুমিল্লা অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি এবং বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দর সমূহকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।