তাঁকে ধরিয়ে দিলে মিলবে ৬০ লাখ টাকা
- আপডেট সময় : ০১:০৬:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৬৩ বার পড়া হয়েছে
২০০২ সালে সল্ট লেকে অনুষ্ঠিত শীলকালীন অলিম্পিকে স্নো বোর্ডিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন রায়ান জেমস ওয়েডিং। সে প্রতিযোগিতায় সেরা হওয়া তো দূরের কথা, ২৪তম হয়েছিলেন কানাডার এ স্নো বোর্ডার। সে ঘটনার ২২ বছর নতুন করে আলোচনায় এসেছেন ওয়েডিং। সেটাও আবার মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধীর তালিকায় যুক্ত হয়ে। শুধু তাই নয়, কেউ ওয়েডিংকে ধরিয়ে দিতে পারলে কিংবা তাঁর অবস্থানের তথ্য দিতে পারলে এফবিআই ৫০ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৬০ লাখ টাকা।
তা ওয়েডিংয়ের নামে অভিযোগ কী? স্নোবোর্ড ছেড়ে দেওয়ার পর মাদক চোরাকারবারির সঙ্গে যুক্ত হন কানাডার সাবেক এই স্নোবোর্ডার। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিনি একটি অপরাধীর চক্র পরিচালনা করেন, যে চক্র আমেরিকাজুড়ে প্রচুর পরিমাণে কোকেন কারবারি করেছে। এ ছাড়া ঐ চক্রের বিরুদ্ধে চারজনকে হত্যার অভিযোগ আছে।
এফবিআই তাদের ওয়েবসাইটে মোস্ট ওয়োন্টেড হিসেবে ওয়েডিংয়ের ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, কানাডার নাগরিক হলেও ওয়েডিং মেক্সিকোতে আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং অনেক দিন ধরেই পলাতক। মার্কিন প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, ৪৩ বছর বয়সী ওয়েডিংয়ের বিরুদ্ধে আমেরিকায় বিভিন্ন ধরনের বেআইনি ব্যবসা পরিচালনা, হত্যা, কোকেন কারবারিসহ আরও বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ আছে।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওয়েডিংয়ের গ্রুপ কলম্বিয়া থেকে মেক্সিকো ও ক্যালিফোর্নিয়া হয়ে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে কোকেনের বড় চালান পাঠিয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলসের মার্কিন অ্যাটর্নি মার্টিন এসট্রাডা জানিয়েছেন, ওয়েডিংয়ের নামে কানাডাতেও কয়েক বছর আগে মামলা হয়েছে। সেখানে বছরে ৬০টন কোকেন পাচার করেছিল ১৬ জনের একটি চক্র। সে চক্রের ৪ জন পলাতক এবং তাদের একজন ওয়েডিং।
এ প্রসঙ্গে মার্টিন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ও মূলত বড় পাচারকারী হওয়ার পথ বেছে নেয়। খুনের এ রাস্তাটা নিজেই বেছে নিয়েছে।’ লস অ্যাঞ্জেলসে দায়িত্বপ্রাপ্ত এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট ক্রিস্টি হকিন্স জানিয়েছেন, এ মামলায় ফ্লোরিডা, মিশিগান, কানাডা, কলম্বিয়া ও মেক্সিকো থেকে ১২জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ আরও অভিযোগ করেছে, এ চক্রটি চুরি করা মাদক চালানের প্রতিশোধ হিসেবে কানাডাতে এক পরিবারের দুজনকে হত্যা করেছে। কিন্তু তারা অন্য লোককে মারতে গিয়ে ভুল পরিচয়ে তাদের হত্যা করে। কর্মকর্তারা বলেছেন, পরে তারা আরও দুজনকে হত্যা করে। মূলত তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, সেখান থেকে এ তথ্য পেয়েছেন তারা। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে তারা কোকেন, অস্ত্র, গোলাবারুদ, নগদ অর্থ ও ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ক্রিপ্টোকারেন্সি জব্দ করেছেন।
২০১৫ সালে কানাডায় আরেকটি মাদক পাচারের অভিযোগে উঠেছিল ওয়েডিংয়ের বিরুদ্ধে। এছাড়া ফেডারেল রেকর্ড অনুসারে, এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে কোকেন কারবারি কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে ২০১০ সালে জেলে গিয়েছিলেন ওয়েডিং। মার্টিন এসট্রাডা জানিয়েছেন, মার্কিন কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ওয়েডিং আবারও মাদক চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েন এবং মেক্সিকোর অপরাধী চক্র সিনালোয়া কার্টেল দ্বারা সুরক্ষিত ছিলেন।