শ্রমিক অসন্তোষে পোশাক খাতে ক্ষতি ৪শ’ মিলিয়ন ডলার
- আপডেট সময় : ০৩:১৪:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৬৩ বার পড়া হয়েছে
গেল দুই মাসের শ্রমিক অসন্তোষে উৎপাদন খাতে ৪শ’ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। শ্রমিক অসন্তোষে যেসব ক্রেতা অন্যদেশে চলে গেছে তারাও দ্রুত ফের বাংলাদেশি কারখানায় ক্রয়াদেশ দেবেন বলেও আশা করছেন বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও শিল্পে বিদ্যুতের যৌক্তিক দাম নির্ধারণসহ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১৩ দফা দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
দেশের শীর্ষ রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক। গেল ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সেপ্টেম্বরে হঠাৎ অস্থির হয়ে ওঠে এই খাত।
শ্রমিক অসন্তোষ থেকে সদ্য নিরসন পাওয়া পোশাক খাতে গেল এক মাসে উৎপাদনে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪শ’ মিলিয়ন ডলার। রপ্তানিতে প্রায় ৮৬ শতাংশ অবদান রাখা এ শিল্প শঙ্কামুক্ত হলেও এ সময়ে হারাতে হয়েছে ক্রয়াদেশ। এতে ক্ষুন্ন হয়েছে এই শিল্পের ভাবমূর্তি।
সার্বিক ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া, শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে ও শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকারের কাছে ১৩ দফা সহযোগিতা চেয়েছে তৈরি পোশাক মালিকরা। শিল্পকে ব্যবসাবান্ধব করতে যথাযথ নীতি প্রণয়নের পাশাপাশি পরবর্তী তিন মাসের জন্য কারখানার ইউটিলিটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করার দাবি তাদের।
বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিল্পের এই ক্রান্তিকালে পরবর্তী তিনমাসের জন্য কারখানার ইউটিলিটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করা। আমরা বিল মওকুফের কথা বলছি না, সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করার কথা বলছি। আস্তে আস্তে ফ্যাক্টরিগুলো বিল পরিশোধ করবে। কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলে তার জন্য কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে দিকে নজর রাখা।’
তৈরি পোশাকে প্রধান দুই বাজারে মিশ্র অবস্থান দেখা গেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি-আগষ্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানি ১.৫ শতাংশ বাড়লেও বাংলাদেশ থেকে কমেছে ৩.৮ শতাংশ। আর ইউরোপে জুলাই পর্যন্ত বেড়েছে ২.৮ শতাংশ। তবে শ্রমিক অসন্তোষের সময় যেসব ক্রেতা প্রতিষ্ঠান অন্য দেশে ক্রয়াদেশ নিয়ে গেছে, তারা দ্রুত সময়ে বাংলাদেশে পুনরায় ক্রয়াদেশ দিবেন বলে আশা বিজিএমইএ সভাপতির।
তিনি বলেন, ‘বায়ারের সাথে আমাদের যে যোগাযোগ হয় প্রতিটি ফ্যাক্টরির তাতে বায়ারদের একটা শঙ্কা ছিল যে অস্থিতিশীলতা এবং ব্যাংকিং স্থিতিশীলতা। এই দুই জায়গার আমাদের কাছে তাদের সবচেয়ে বেশি চাওয়া। ব্যাংকিং চ্যানেল ঠিক থাকলে ইমপোর্ট ঠিকমতো করতে পারলে কোনো সমস্যা নেই।’
এদিকে, তুলনামূলক রপ্তানি প্রবৃদ্ধির বিচারে চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.৩৪ শতাংশ, যেখানে ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধি ১৫.৫৭ শতাংশ এবং ভারতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩.৪৫ শতাংশ।