সব রাজনৈতিক দলের সাথে কথা বলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সিদ্ধান্ত
- আপডেট সময় : ০৯:১২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে
সব রাজনৈতিক দলের সাথে কথা বলে প্রবীণ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে কিনা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। শনিবার রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এসময় মাহফুজ আলম বলেন, ‘সবগুলো রাজনৈতিক দল এবং স্টেকহোল্ডারের সাথে কথা বলেই আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসর দলকে নিষিদ্ধ করা হবে কিনা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সংস্কারে শিগগিরই সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। তারা ঠিক করবে কমিশনার কারা হবেন। কমিশনাররা রাজনৈতিক দলের সাথে কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করবেন।’
এসময় প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, উপদেষ্টা পরিসর বাড়ানোর বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিগত সরকারের যারা পালিয়েছেন তারা কীভাবে পালিয়েছেন তার তদন্ত চলছে। এছাড়া, আওয়ামী লীগ সরকারের তিনটি পার্লামেন্ট অবৈধ ঘোষণা হবে কি না সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে।
ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে শনিবার বিকেল ৩টা থেকে কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সংলাপ শুরু হয়। এতে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতামত ব্যক্ত করে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিকাল ৩টা থেকে পর্যায়ক্রমে চলে গণফোরাম, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, লেবার পার্টি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, বিজেপি ও ১২ দলীয় জোটসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে সংলাপ।
এরই মধ্যে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরামের প্রতিনিধি দল সংলাপ করেছে। এরপর এলডিপি নেতারা সংলাপে অংশ নেয়।
এর আগে, গত ৫ অক্টোবর বিএনপিকে দিয়ে শুরু হয় এই সংলাপ। একে একে জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, হেফাজতে ইসলাম, বাম গণতান্ত্রিক জোট, ইসলামী আন্দোলন, এবি পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের সাথে সংলাপ হয়।
এর আগে, বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আরও এক দফা আলোচনা করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ক সংস্কারে ৬ কমিশন গঠনের কথা জানান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আর বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য, গণমাধ্যম, শ্রমিক ও নারীবিষয়ক আরও ৪ কমিশন গঠন করে সরকার। এ নিয়ে মোট ১০ সংস্কার কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।