শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে কি যাবে না, এই আলোচনার মধ্যেই পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক হলো ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার। তবে এই বৈঠকের পর ভার্মা জানান, আলোচনায় ঠাঁই পায়নি শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ। আর বাংলাদেশিদের ভারতে ভিসা নিয়ন্ত্রণের জবাবে দাবি করেন, জনবল সংকট থাকায় ভিসা সীমিত করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে যাবার প্রায় আড়াই মাস পর, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি ফের আলোচনায় এসেছে, ৩ দিন আগে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে।
তাকে ফিরিয়ে আনতে দুই দেশের মধ্যে করা বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তির সম্ভাবনা যখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনারের বৈঠক।
রোববার দুই কর্মকর্তার বৈঠক শেষ হলে, সাংবাদিকরাই এটাই জানতে চান, শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবার ব্যাপারে কী আলোচনা হয়েছে।
শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ ইস্যুতে আলোচনার কথা অস্বীকার করলেও, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের এই কর্মকর্তা এই বৈঠককে সম্পর্ক উন্নয়নের নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ভারত বাংলাদেশ পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল ও আন্তরিক বলেও উল্লেখ করেন তিনি। জানান, জনবল সংকটের কারণেই পুরোমাত্রায় চালু হচ্ছে না বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতের ভিসা সেন্টার।
৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর নিরাপত্তা কারণ দেখিয়ে, প্রায় আড়াই মাস ধরে ভারত সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের পর্যটন ভিসা দেয়া বন্ধ রেখেছে।