ঢাকা ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাকিস্তানের কাছে হারতে হয়নি, এটাই স্বস্তি বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:২৩:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাকিস্তানের মেয়েরা বাংলাদেশের মেয়েদের চেয়ে উচ্চতায় আর শারীরিক শক্তিতে এগিয়ে। শুধু এতটুকু হলেও হতো! ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কার মতো পাকিস্তানও ছেলেদের ফুটবলে ইদানিং পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত বিদেশি ফুটবলারদের জাতীয় দলে সুযোগ দিচ্ছে, ছেলেদের মতো মেয়েদের ফুটবলেও একই কাজ করছে পাকিস্তান। এবারের সাফের পাকিস্তান দলেই যেমন ছয়জন ফুটবলার বেড়ে উঠেছেন যুক্তরাষ্ট্রে কিংবা যুক্তরাজ্যে।

যদিও এই দল নিয়েই ভারতের কাছে গ্রুপে নিজেদের আগের ম্যাচে ৫-২ গোলে হেরেছে পাকিস্তান, তবু মেয়েদের সাফে আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা বাংলাদেশের কাজটা যে সহজ হবে না সেটা অনুমিত ছিল। বাংলাদেশ নিজেদের কাজটা আরও কঠিন করে নেয় প্রথমার্ধেই নিজেদের ভুলে গোল খেয়ে।

তবে কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে আজ শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ হারেনি, আপাতত এতটুকুই স্বস্তি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর যোগ করা সময়ের গোলে ১-১ সমতায় ম্যাচ শেষ করেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা।

এতে আপাতত স্বস্তিটা এই যে, আগামী ২৩ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ড্র করলেই হবে বাংলাদেশের। এমনকি গোল ব্যবধানে পাকিস্তান (-৩) অনেক পিছিয়ে থাকায় বাংলাদেশ (গোল ব্যবধান ০) দুই গোলে হারলেও চলে যাবে সেমিফাইনালে।

বাংলাদেশ খারাপ খেলেনি আজ, তবে ৩২ মিনিটে নিজেদের ভুলে গোল খাওয়ার মূল্যই দিয়েছে। রক্ষণে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ শিউলি, গোলকিপার রুপ্না চাকমা এগিয়ে এলেও লাভ হয়নি। টটেনহ্যামের হটস্পারের যুবপ্রকল্পে বেড়ে ওঠার পর লন্ডন সিওয়ার্ড হয়ে এই মৌসুমেই সৌদি আরবের ক্লাব আল-হাম্মাতে যোগ দেওয়া পাকিস্তানি ফরোয়ার্ড জাহমেনা মালিক এগিয়ে দেন পাকিস্তানকে।

গোল করেই পাকিস্তান একেবারে লো ব্লকে চলে যায়। পাঁচ ডিফেন্ডার নিয়ে খেলেছে, মিডফিল্ডার আর উইঙ্গাররাও বনে যান ‘অক্সিলারি ডিফেন্ডার’ – বাংলাদেশের সে রক্ষণ ভাঙতে ঘাম ঝরে গেছে। অবশ্য বাংলাদেশ গোল মিসও করেছে অনেক। প্রথমার্ধেই অন্তত চারবার গোল করার খুব কাছে গিয়েছিল বাংলাদেশ, এর মধ্যে একবার তো ক্রসে হেড করতে গিয়ে পাকিস্তানের গোলকিপার আর ডিফেন্ডারের সঙ্গে সংঘর্ষে আঘাতই পান শামসুন্নাহার জুনিয়র! পরে ব্যান্ডেজ পরে নামেন তিনি।

তবু শেষ পর্যন্ত ৯০ মিনিটেও যখন পাকিস্তান এগিয়ে, মনে হচ্ছিল, সাফের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নেমে শুরুতেই বুঝি বড় ধাক্কা খাচ্ছে বাংলাদেশ! গত সাফে শিরোপার পথে যে পাকিস্তানকে ৬-০ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল, সেই পাকিস্তানের কাছে হারতে হওয়া তো অকল্পনীয় ধাক্কাই!

তবে যোগ করা ৬ মিনিট সময়ের প্রথম মিনিটে অচলায়তন ভাঙে। পুরো ম্যাচে দারুণ জুটি বেঁধে বাংলাদেশের আক্রমণে প্রাণ জুগিয়েছেন ঋতুপর্ণা চাকমা আর শামসুন্নাহার জুনিয়র, এ দুজনের সমন্বয়েই স্বস্তি ফেরে বাংলাদেশের ডাগআউটে। ঋতুপর্ণার ক্রসে হেড করে বল জালে জড়িয়ে দেন শামসুন্নাহার জুনিয়র।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানের কাছে হারতে হয়নি, এটাই স্বস্তি বাংলাদেশের

আপডেট সময় : ১১:২৩:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

পাকিস্তানের মেয়েরা বাংলাদেশের মেয়েদের চেয়ে উচ্চতায় আর শারীরিক শক্তিতে এগিয়ে। শুধু এতটুকু হলেও হতো! ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কার মতো পাকিস্তানও ছেলেদের ফুটবলে ইদানিং পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত বিদেশি ফুটবলারদের জাতীয় দলে সুযোগ দিচ্ছে, ছেলেদের মতো মেয়েদের ফুটবলেও একই কাজ করছে পাকিস্তান। এবারের সাফের পাকিস্তান দলেই যেমন ছয়জন ফুটবলার বেড়ে উঠেছেন যুক্তরাষ্ট্রে কিংবা যুক্তরাজ্যে।

যদিও এই দল নিয়েই ভারতের কাছে গ্রুপে নিজেদের আগের ম্যাচে ৫-২ গোলে হেরেছে পাকিস্তান, তবু মেয়েদের সাফে আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা বাংলাদেশের কাজটা যে সহজ হবে না সেটা অনুমিত ছিল। বাংলাদেশ নিজেদের কাজটা আরও কঠিন করে নেয় প্রথমার্ধেই নিজেদের ভুলে গোল খেয়ে।

তবে কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে আজ শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ হারেনি, আপাতত এতটুকুই স্বস্তি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর যোগ করা সময়ের গোলে ১-১ সমতায় ম্যাচ শেষ করেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা।

এতে আপাতত স্বস্তিটা এই যে, আগামী ২৩ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ড্র করলেই হবে বাংলাদেশের। এমনকি গোল ব্যবধানে পাকিস্তান (-৩) অনেক পিছিয়ে থাকায় বাংলাদেশ (গোল ব্যবধান ০) দুই গোলে হারলেও চলে যাবে সেমিফাইনালে।

বাংলাদেশ খারাপ খেলেনি আজ, তবে ৩২ মিনিটে নিজেদের ভুলে গোল খাওয়ার মূল্যই দিয়েছে। রক্ষণে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ শিউলি, গোলকিপার রুপ্না চাকমা এগিয়ে এলেও লাভ হয়নি। টটেনহ্যামের হটস্পারের যুবপ্রকল্পে বেড়ে ওঠার পর লন্ডন সিওয়ার্ড হয়ে এই মৌসুমেই সৌদি আরবের ক্লাব আল-হাম্মাতে যোগ দেওয়া পাকিস্তানি ফরোয়ার্ড জাহমেনা মালিক এগিয়ে দেন পাকিস্তানকে।

গোল করেই পাকিস্তান একেবারে লো ব্লকে চলে যায়। পাঁচ ডিফেন্ডার নিয়ে খেলেছে, মিডফিল্ডার আর উইঙ্গাররাও বনে যান ‘অক্সিলারি ডিফেন্ডার’ – বাংলাদেশের সে রক্ষণ ভাঙতে ঘাম ঝরে গেছে। অবশ্য বাংলাদেশ গোল মিসও করেছে অনেক। প্রথমার্ধেই অন্তত চারবার গোল করার খুব কাছে গিয়েছিল বাংলাদেশ, এর মধ্যে একবার তো ক্রসে হেড করতে গিয়ে পাকিস্তানের গোলকিপার আর ডিফেন্ডারের সঙ্গে সংঘর্ষে আঘাতই পান শামসুন্নাহার জুনিয়র! পরে ব্যান্ডেজ পরে নামেন তিনি।

তবু শেষ পর্যন্ত ৯০ মিনিটেও যখন পাকিস্তান এগিয়ে, মনে হচ্ছিল, সাফের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নেমে শুরুতেই বুঝি বড় ধাক্কা খাচ্ছে বাংলাদেশ! গত সাফে শিরোপার পথে যে পাকিস্তানকে ৬-০ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল, সেই পাকিস্তানের কাছে হারতে হওয়া তো অকল্পনীয় ধাক্কাই!

তবে যোগ করা ৬ মিনিট সময়ের প্রথম মিনিটে অচলায়তন ভাঙে। পুরো ম্যাচে দারুণ জুটি বেঁধে বাংলাদেশের আক্রমণে প্রাণ জুগিয়েছেন ঋতুপর্ণা চাকমা আর শামসুন্নাহার জুনিয়র, এ দুজনের সমন্বয়েই স্বস্তি ফেরে বাংলাদেশের ডাগআউটে। ঋতুপর্ণার ক্রসে হেড করে বল জালে জড়িয়ে দেন শামসুন্নাহার জুনিয়র।