কোরিয়ান গ্লাস স্কিন যেভাবে পাবেন, রইল ৫ উপায়
- আপডেট সময় : ১১:০৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৭১ বার পড়া হয়েছে
দাগছোপহীন ঝকঝকে কাঁচের মতো ত্বক সবাই চান। কিন্তু সব চাওয়া কি আর পূর্ণ হয়। অনেকেই বলবেন না। কিন্তু একটু চেষ্টা করলে এটা হ্যাঁ’তে পরিণত করতে পারেন। বিউটি ওয়ার্ল্ডে কোরিয়ান গ্লাস স্কিন এখন রমরমা। অনেকে তাই কিছু না বুঝেই নানা কোরিয়ান প্রসাধনী দিয়ে নিজের ড্রেসিং টেবিল ভরিয়ে ফেলেন।
কেউ কেউ আবার ছুটে বেড়ান নানা টোটকার পেছনে। আদৌ কি তাতে কোনো ফল মেলে। না! বরং তার জন্য প্রয়োজন সঠিক প্রোডাক্ট আর ঠিকঠাক রূপ রুটিন। কোরিয়ান গ্লাস স্কিন পেতে রইল তেমনই কিছু টিপস। জেনে নিন সেই উপায়গুলো।
স্টিম নিন নিয়মিত
কোরিয়ান গ্লাস স্কিন পেতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত স্টিম নিতে হবে। তবেই ত্বকের জেল্লা বাড়বে কয়েক গুণ। আপনি চাইলে স্টিম বাথও নিতে পারেন। নিয়মিত এভাবে স্টিম নিলে ত্বকের পোরস খুলে যাবে। আর এতে দূর হবে ত্বকের সমস্ত তেল-ময়লা। ফলে আপনার ত্বকে ব্রণ উঠতে পারবে না। এমনকি দূর হবে ত্বকের দাগছোপও। এর জন্য আপনাকে পার্লারেও যেতে হবে না। বাড়িতেই করতে পারেন।
প্রথমে একটি বড় বাটি বা গামলায় গরম পানি নিন। তারপর একটি তোয়ালে দিয়ে আপনার মাথা ঢেকে নিন। কিছুক্ষণ স্টিম নিয়ে তোয়ালে সরিয়ে ফেলুন। একই ভাবে আবারও স্টিম নিন। স্টিম নেওয়া শেষ হলে আঙুল দিয়ে গোটা মুখে সার্কুলার মোশনে মাসাজ করুন।
ডাবল ক্লেনজিং করুন
ত্বকের তেল, ধুলা, ময়লা দূর করতে ডাবল ক্লেনজ়িং করতে হবে। এর মাধ্যমে ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার হয়। এই ধুলা-বালির কারণে ত্বকে দেখা দিতে পারে ব্রণ সমস্যা। কিভাবে করবেন এই ডাবল ক্লেনজিং, জানেন? খুব সহজ মাইসেলার ওয়াটার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মাইসেলার ওয়াটার পাওয়া যায়। আপনার পছন্দমতো কিনে নিতে পারেন। তারপর ফেসওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন। দেখাবে মুখ বেশ পরিষ্কার ও ঝকঝকে হয়ে গিয়েছে।
এক্সফলিয়েশন করে নিন
ক্লেনজিংয়ের পরেই আপনাকে করতে হবে এক্সফলিয়েশন। কোরিয়ানরা ফেসওয়াশের পরে একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ত্বক স্ক্রাব করেন। এই কাজটি নিয়মিত করতে হবে। তাহলে আপনার ত্বকে থেকে যাওয়া ধুলো-বালিও বের হয়ে যাবে। তার জন্য হালকা গরম পানিতে একটি পাতলা কাপড় ডুবিয়ে নিন। তারপর কাপড়টি ভালো ভাবে নিংড়ে নিন। এবার এই কাপড় দিয়ে মুখ হালকা করে ঘষুন। নিচ থেকে উপর দিক এই কাপড় ঘষবেন। এতে বেরিয়ে যাবে অতিরিক্ত ময়লা।
টোনিং কিন্তু মাস্ট
স্ক্রাবিং হয়ে গেলে তারপর টোনিংয়ের পালা। এই কাজটির জন্য প্রাকৃতিক উপকরণ সমৃদ্ধ টোনার পাওয়া যায় বাজারে। তবে এক্ষেত্রে ভালো মানের টোনার ব্যবহার করতে হবে। একটি কটন প্যাডে টোনার নিয়ে সারা মুখে তা বুলিয়ে নিন। এতে আপনার মুখের পোরস বুজে যাবে। আর তাতেই ত্বক দেখাবে উজ্জ্বল। কোরিয়ানরা অনেকেই ফার্মেন্টেড চালের পানি টোনার হিসেবে ব্যবহার করেন। এতে ত্বকে কোলাজেনের মাত্রা বাড়ে। আর আপনার ত্বক দেখায় টানটান এবং জেল্লাদার।
সব শেষে ময়শ্চারাইজার
কোরিয়ান গ্লাস স্কিনের মূল সিক্রেটই লুকিয়ে আছে ত্বকের হাইড্রেশনে। তাই টোনার ব্যবহারের পর অবশ্যই আপনাকে ময়শ্চারাইজার লাগাতে হবে। এতে ত্বক থাকবে ভিতর থেকে হাইড্রেটেড। তবে আপনাকে ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ ময়শ্চারাইজার মাখতে পারেন। তবেই ত্বকে কোষে পৌঁছে যাবে সঠিক পুষ্টি। আর আপনার ত্বক দেখাবে সতেজ এবং কাচের মতো স্বচ্ছ।