বলিউড অভিনেতা সালমান খানের পেছনে উঠেপড়ে লেগেছে বিষ্ণোই গ্যাং। তাদের কাছ থেকে একের পর এক প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তিত অভিনেতার পরিবার। এই অবস্থায় ভাইজানের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে, যে ঘটনায় বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের রোষানলে পড়েছেন সালমান, সেই কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের কথা উঠে এল তাঁর প্রাক্তন সোমি আলির মুখে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি-নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সালমানের সঙ্গে শিকারের দিন আমারও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সালমান আমাকে বারণ করেছিল।’
পাকিস্তানি-আমেরিকান এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘বিষ্ণোই সম্প্রদায় যে কৃষ্ণসার হরিণকে ঈশ্বর হিসেবে পূজা করেন, তা সত্যিই সালমান জানত না। তাই সালমানের ক্ষমা চাওয়া অনর্থক। ইগোর লড়াইয়ে জেতার জন্য কাউকে কোনোভাবে জোর করা যায় না। শিকারের দিন আমি সঙ্গে ছিলাম সালমানের। যদিও শিকারে আমাকে নিয়ে যেতে চাননি। কারণ, আমি কোনো বন্যপ্রাণীর পিছনে ছুটে বেরানোকে খেলা হিসেবে দেখি না। সেটা সালমানকে জানিয়েছিলাম। তবে সালমান আমাকে বলেছিল, বিষ্ণোইদের সম্পর্কে সে কিছুই জানে না।’
বর্তমানে সালমানের পরিবারের সঙ্গে অভিনেত্রীর কোনো যোগাযোগ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে সোমি বলেন, ‘এখন আমার সঙ্গে সালমানের কোনো সম্পর্ক নেই। ওর পরিবারের লোকদের সঙ্গেও আমার কোনো যোগাযোগ নেই। আমি শুধু চাই, এই ধরনের প্রাণনাশের হুমকি বন্ধ হোক। হিংসা কখনো কিছু সমাধান করতে পারে না।’
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিংয়ে গিয়ে রাজস্থানের কঙ্কানি গ্রামে কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেছিলেন সালমান। এরপর থেকেই বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের চক্ষুশূল তিনি। এই জেরে সাম্প্রতিক সময়ে অভিনেতার বাসার সামনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ক’দিন আগে আততায়ীর গুলিতে সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকের খুনের ঘটনায় আবারও আলোচনায় উঠে আসে সালমান-বিষ্ণোই বৈরিতা।