বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সরকারি তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষাসহ ৫ নির্দেশনা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দুই উপদেষ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক বঙ্গভবনের সামনে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, দুইজন গুলিবিদ্ধ রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা পাবনায় মশাল মিছিল রাষ্ট্রপতির পদত্যাগে এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম: সরকারের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, বুধবার থেকে কার্যকর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৩৯ পুলিশ সদর দপ্তরে শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জামায়াতে আমিরের সঙ্গে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ ২০২৪–২৫ অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ৪.৫% প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মুশফিকের ৬ হাজার রান বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তানের ওয়ানডে দল ঘোষণা অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবী রূপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে: মাহমুদুর রহমান পূর্ণিমার ভিসা জটিলতায় শাকিবের মেগা ইভেন্ট স্থগিত পুলিশের ২৫২ এসআইকে অব্যাহতিতে রাজনৈতিক কারণ নেই ৩৬৯ দিন পর মাঠে ফিরলেন নেইমার আজারবাইজানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রধান উপদেষ্টার সাগরে নিম্নচাপ, নতুন বার্তা দিলো আবহাওয়া অফিস সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধন চায় রাজনৈতিক দলগুলো

ব্যাটারিচালিত রিকশা বাড়ায় অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ছেন টানা রিকশার চালকরা

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক / ২৩ জন দেখেছেন
আপডেট : বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন
ব্যাটারিচালিত রিকশা বাড়ায় অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ছেন টানা রিকশার চালকরা
৭১ নিউজ বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে কলকাতার ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে হাতে টানা রিকশা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই রিকশা ব্যবহার ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে গেলেও কলকাতার রাস্তায় দেখা মেলে হাতে টানা রিকশা। যদিও ব্যাটারিচালিত ও প্যাডেল রিকশা প্রচলন বাড়ায় অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ছেন টানা রিকশার চালকরা।

কলকাতার নিউ মার্কেট বা মারক্যুইস স্ট্রিটে গেলে হরহামেশাই চোখে পড়ে হাতে টানা রিকশা। ১৮৯০ সালে জাপান থেকে টানা রিকশার কাঠের সংস্করণ তৎকালীন ভারতের রাজধানী কলকাতায় আনেন ইহুদি এক ব্যবসায়ী। ১৯৩৩ সালে একসাথে ৬ হাজার চালককে দেয়া হয় লাইসেন্স।

যদিও ২০০৬ সালে টানা রিকশা নিষিদ্ধের প্রস্তাব করেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এ সংক্রান্ত আইন পাস হলেও চলছে এই বাহন।

বংশ পরম্পরায় টানা রিকশার হাত বলদ হলেও বদলায়নি চালকের ভাগ্য। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, টোটো, ভ্যান ইত্যাদি আধুনিক যানবাহন বাড়তে থাকায় প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না টানা রিকশা। চালকরা বলছেন, আগে যেখানে দিনে ১ হাজার রুপি আয় হতো, এখন তা অর্ধেকেরও অর্ধেকে নেমে এসেছে।

রিকশা চালকদের একজন বলেন, ‘রোজগারের কথা আর কী বলবো। কখনও ভালো আবার কখনও হয় না। সবাই তো সাইকেল রিকশা ব্যবহার করে। আগে পাঁচ-সাতশ রুপি আয় হতো। সরকার আমাদের কথা ভাবলে এই পেশা ছেড়ে দিতাম।’

অমানবিক দৈহিক পরিশ্রম হয় বলে টানা রিকশা বন্ধের দাবি উঠেছে অনেকবার। পাশাপাশি, চালকদের পুনর্বাসনের দাবিও জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

ঐতিহ্য ধরে রাখার চেয়ে পেট চালানোকেই বড় করে দেখতে বাধ্য হচ্ছেন এই রিকশাচালকরা। তারা বলছেন, সহজ কিস্তিতে বা যে কোনো উপায়ে সরকার অটোরিকশার ব্যবস্থা করে দিলে কোনোরকমে টিকে থাকতে পারবেন তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের অন্য সংবাদ