ময়মনসিংহে ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি
- আপডেট সময় : ০১:৩৯:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৭১ বার পড়া হয়েছে
বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহ চিত্র। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলায় প্রায় ২৬ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান ও শাক-সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে প্রায় ১৫ হাজার পুকুর, দিঘী ও বাণিজ্যিক মাছের খামার। কৃষি ও মৎস্য খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটিরও বেশি। গ্রামীণ সড়কে ক্ষতির পরিমাণ ১০৯ কোটি টাকা। বিভাগীয় কমিশনার বলছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে কাজ করবে সরকার।
অতিবৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে কিছু বুঝে উঠার আগেই তলিয়ে যায় গ্রামের পর গ্রাম। নদীনালা, খালবিল আর ফসলি জমি একসাথে মিশে হয় বিশাল জলরাশি। এমন বন্যা আগে দেখেননি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, ফুলপুরের মানুষ।
বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। মাঠের পর মাঠ সবুজ ধানের খেত এখন বিবর্ণ। ধান গাছ পঁচে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। অথচ এই ফসলেই গোলা ভরার কথা ছিলো কদিন বাদেই। ধারদেনা পরিশোধ, বছরের খোরাকি আর সামনের বোরো আবাদের খরচের জোগান নিয়ে দিশেহারা বানভাসি কৃষকরা।
এদিকে, বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে মৎস্য খাতেও। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে পুকুর, খামারের কোটি টাকার মাছ। ভেসে যাওয়া মাছ ধরার হিড়িক পড়লেও মাথায় হাত খামারিদের।
এদিকে বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সরকারি-বেসরকারি সহায়তা চান ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। চান ব্যাংক ঋণ মওকুফসহ স্বল্প বা বিনা সুদে কৃষি ঋণ।
কৃষি ও মৎস্য বিভাগের তথ্য বলছে, বন্যায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার ২৮৩ হেক্টর জমির আমন ধান ও শাকসবজি। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত ৯৩ হাজার ৩১৫ জন কৃষক। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৩শ কোটি টাকা। আর ভেসে গেছে প্রায় ১৫ হাজার পুকুর, দিঘী ও মাছের খামার।
এদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও পুনর্বাসন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার। ব্যাংক ঋণ মওকুফ বা স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এবারের বন্যায় জেলায় ১৬৭ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০৯ কোটি টাকা। আর প্রাণী সম্পদ খাতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় আড়াই কোটি।