ফ্যাসিবাদের প্রধান দোসর অ্যাখ্যা দিয়ে দেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগ এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে তাঁর নিজ জেলা পাবনায় মশাল মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার ৭টার দিকে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের প্রধান ফটকের সামনে থেকে মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি পাবনা শহর প্রদক্ষিণ করে আবার এডওয়ার্ড কলেজের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার অন্যতম প্রধান দোসর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে মিথ্যাচার করছেন, ষড়যন্ত্র করছে। সে রাষ্ট্রপতি পদে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছে। অবিলম্বে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। তা নাহলে ছাত্র-জনতা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
সম্প্রতি মানবজমিনের প্রকাশনা জনতার চোখের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে -নেপথ্যের গল্পতে প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী জানান, রাষ্ট্রপতি তাকে জানিয়েছেন, তিনি শুনেছেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই।
কথোপকথনটি একটি রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখ’—এ প্রকাশিত হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে গত সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দাবি করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মিথ্যাচার করেছেন, যা শপথ ভঙ্গের শামিল।
অবশ্য সমালোচনা ওঠার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়। রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে সোমবার বঙ্গভবনের পাঠানো এক ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দেশত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতার উপর যত ধরনের প্রশ্ন জনমনে উদ্রেক হয়েছে সেগুলোর যাবতীয় উত্তর স্পেশাল রেফারেন্স নং-০১/২০২৪ এ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গত ৮ আগস্টের আদেশে প্রতিফলিত হয়েছে।’