হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য কোনো যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া যেকোনো সরকারি তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করাসহ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, এ মন্ত্রণালয়ের অধীন এবং মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাঁচটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের দেওয়া এসব নির্দেশনা জানিয়ে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এ মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দপ্তর-সংস্থা ছাড়াও সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারে অধিকতর তৎপর হওয়া’ শিরোনামের চিঠিতে বলা হয়েছে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষ করে হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদান করা যায় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া সহজতর হয়।
চিঠিতে জানানো হয়, তথ্যপ্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি কাজের গতিশীলতা আনয়ন এবং কর্ম সম্পাদন বিলম্ব পরিহারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এসব নির্দেশনা দিয়েছেন।
৫ নির্দেশনা হলো-
১. হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সব কর্মকর্তাকে অধিকতর সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে, যেন অফিস অথবা অফিসের বাইরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশনা প্রতিপালন সহজতর হয় এবং দ্রুত সাড়া দেওয়া যায়।
২. সব কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিক মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল রাখার লক্ষ্যে ব্রডব্যান্ড, ওয়াইফাই বা মোবাইল ডাটার মাধ্যমে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. নিয়মিত বিরতিতে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পরীক্ষা করতে হবে, যেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা বা পরামর্শ দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করা যায়।
৪. হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য কোনো যোগাযোগ মাধ্যমে প্রদত্ত যেকোনো সরকারি তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে।
৫. হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য কোনো মাধ্যমে কোনো সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনা দেওয়া হলে পরবর্তীতে তথ্য যাচাইয়ের সুবিধার্থে রেকর্ডে তা সংরক্ষণ করতে হবে।