ডেঙ্গু পরিস্থিতি দেশে ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে, একই সময়ে এক হাজার ১৩৮ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঢাকার মধ্যে ৪৩৮ জন রোগী এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন এলাকায় বাকিরা ভর্তি হয়েছেন। তবে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন সমান সংখ্যক, অর্থাৎ ১১৩৮ জন রোগী।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৩ হাজার ১৯৬ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৯ হাজার ১০১ জন। মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬৪ জনে, যা ডেঙ্গু মোকাবিলায় গুরুতর সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান মন্তব্য করেছেন, ডেঙ্গু এখন আর নির্দিষ্ট মৌসুমের রোগ নয়; বরং সারা বছরই এটি ছড়িয়ে পড়ছে। বৃষ্টি বাড়ার সাথে সাথে এর প্রকোপও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশা নিধনের পাশাপাশি মশা প্রতিরোধক ব্যবহারে সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রয়োজন। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষকেও সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী আরও জোর দিয়ে বলেন, মশা নিধনে শুধু জরিমানা আর সচেতনতা প্রচারণা যথেষ্ট নয়। সঠিক পরিকল্পনা ও জরিপের মাধ্যমে দক্ষ জনবল ব্যবহার করে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন এবং এ সময়ে ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
ডেঙ্গুর এ ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় পর্যায়ে আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে অনুভূত হচ্ছে।