ঢাকা ১০:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজার অর্থনীতি ফেরাতে সময় লাগবে ৩৫০ বছর

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৫:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৪০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এক বছরের বেশি সময়ে ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজার অর্থনীতি পুরোপুরি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন শাখা (আঙ্কটাড) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধপূর্ব অবস্থায় গাজার অর্থনীতি ফিরিয়ে আনতে ৩৫০ বছর সময় লাগবে।

গাজার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে করা এই প্রতিবেদনটি সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে পেশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে ইসরায়েলের ওপর হামাসের আক্রমণের পর ইসরায়েলি বাহিনীর পাল্টা হামলায় গাজার অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এর আগে থেকেই গাজার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দুর্বল ছিল, কিন্তু এই যুদ্ধ তা সম্পূর্ণ ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেও গাজায় বিদ্যুৎ, পানি ও জ্বালানির ঘাটতি তীব্র ছিল, এবং প্রবেশাধিকার সীমিত থাকায় মানবিক সহায়তাও ছিল অপ্রতুল। এসব কারণে গাজার অর্থনীতি ধীরে ধীরে ভেঙে পড়তে শুরু করে। যুদ্ধে ক্ষতির মাত্রা আরও প্রকট হয়ে ওঠে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুরোপুরি থেমে যায়।

জাতিসংঘের হিসাবমতে, ২০২৪ সালের প্রথম দিকে গাজায় ৯৬ শতাংশ নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে গেছে। কৃষি উৎপাদন কমেছে ৯৩ শতাংশ, সামগ্রিক উৎপাদন কমেছে ৯২ শতাংশ এবং সেবা খাতের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে ৭৬ শতাংশ। বেকারত্বের হার বেড়ে ৮১ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছে, যা এই অঞ্চলের মানবিক বিপর্যয়কে আরও প্রকট করেছে।

ইসরায়েলের আগ্রাসনে গাজার পরিস্থিতি প্রতিদিন আরও খারাপ হচ্ছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা থেকে পুনরুদ্ধার অসম্ভবের কাছাকাছি, এবং যুদ্ধবিরতির পরও গাজা তার প্রাক-যুদ্ধ অর্থনৈতিক অবস্থায় ফিরে আসতে শতাব্দীর পর শতাব্দী সময় লাগবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজার অর্থনীতি ফেরাতে সময় লাগবে ৩৫০ বছর

আপডেট সময় : ০৫:৪৫:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

এক বছরের বেশি সময়ে ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজার অর্থনীতি পুরোপুরি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন শাখা (আঙ্কটাড) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধপূর্ব অবস্থায় গাজার অর্থনীতি ফিরিয়ে আনতে ৩৫০ বছর সময় লাগবে।

গাজার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে করা এই প্রতিবেদনটি সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে পেশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে ইসরায়েলের ওপর হামাসের আক্রমণের পর ইসরায়েলি বাহিনীর পাল্টা হামলায় গাজার অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এর আগে থেকেই গাজার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দুর্বল ছিল, কিন্তু এই যুদ্ধ তা সম্পূর্ণ ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেও গাজায় বিদ্যুৎ, পানি ও জ্বালানির ঘাটতি তীব্র ছিল, এবং প্রবেশাধিকার সীমিত থাকায় মানবিক সহায়তাও ছিল অপ্রতুল। এসব কারণে গাজার অর্থনীতি ধীরে ধীরে ভেঙে পড়তে শুরু করে। যুদ্ধে ক্ষতির মাত্রা আরও প্রকট হয়ে ওঠে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুরোপুরি থেমে যায়।

জাতিসংঘের হিসাবমতে, ২০২৪ সালের প্রথম দিকে গাজায় ৯৬ শতাংশ নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে গেছে। কৃষি উৎপাদন কমেছে ৯৩ শতাংশ, সামগ্রিক উৎপাদন কমেছে ৯২ শতাংশ এবং সেবা খাতের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে ৭৬ শতাংশ। বেকারত্বের হার বেড়ে ৮১ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছে, যা এই অঞ্চলের মানবিক বিপর্যয়কে আরও প্রকট করেছে।

ইসরায়েলের আগ্রাসনে গাজার পরিস্থিতি প্রতিদিন আরও খারাপ হচ্ছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা থেকে পুনরুদ্ধার অসম্ভবের কাছাকাছি, এবং যুদ্ধবিরতির পরও গাজা তার প্রাক-যুদ্ধ অর্থনৈতিক অবস্থায় ফিরে আসতে শতাব্দীর পর শতাব্দী সময় লাগবে।