গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। বাকি ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আজ (বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার বিশেষ আদালত-৩ এর বিচারক আবু তাহের শুনানি শেষে বেগম খালেদা জিয়াকে খালাস দেন।
২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকা বিএনপি সরকারের সময় গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানি লিমিটেড অর্থাৎ গ্যাটকোর সঙ্গে লেনদেনে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তেজগাঁও থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকার। মামলার পরদিন বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে কোকোকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে।
পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে এ মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়। মামলার ২৫ আসামির মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান ও কোকোসহ আট জন মারা গেছেন। এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় তাকেও মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এই মামলায় দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে শুনানি শেষে আজ (বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার বিশেষ আদালত-৩ এর বিচারক আবু তাহের শুনানি শেষে খালেদা জিয়াকে খালাস দেন। সাথে বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকেও অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। তবে বাকি ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ তালুকদার বলেন, মামলায় কেউ শাস্তি পাওয়ার যোগ্য না। এটি একটি রাজনৈতিক মামলা। এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বলেন, মামলাটি ১/১১ সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেন নি দুদকের আইনজীবী আব্দুস সালাম।
এর আগে খালেদা জিয়ার নামে আওয়ামী লীগ সরকারের দায়ের করা হুকুমের আসামি হিসেবে ২০১৫ সালে আগুনে পুড়িয়ে ৪২ জনকে হত্যার মামলা খারিজ করে দেয় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।