ঢাকা ১১:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ দেশের সমতলে আঘাত হানার শঙ্কা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৪২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যে গতিপথ অনুসরণ করে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ অগ্রসর হচ্ছে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের সমতলে আঘাত হানার কোনো শঙ্কা নেই। তবে এর প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ (বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ ড. বজলুর রশিদ।

বাতাসের শক্তি নিয়ে ঘূর্ণিবায়ুর চক্র ভারতের ওড়িশা উপকূলের দিকে এগোচ্ছে জানিয়ে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, মধ্যরাতের আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বল হয়েছে।

সেই সাথে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশনার কথাও জানান আবহাওয়াবিদ ড. বজলুর রশিদ।

আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. বজলুর রশিদ বলেন, ‘দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে এরমধ্যেই প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব পড়তে শুরু করছে। যার কারণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, তবে অতিভারি বৃষ্টিপাতের শঙ্কা নেই। আজ ও আগামীকাল (শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর) মেঘাচ্ছন্ন আকাশ থাকবে, বৃষ্টি হবে আর শনিবার (২৬ অক্টোবর) আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

মোংলা বন্দর থেকে ৪৮৫ কিলোমিটার, পায়রা থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার ও চট্টগ্রাম থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দূরে ঘূর্ণিঝড় দানা অবস্থান করছে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ এ পরিনত হয়ে গতকাল (বুধবার ,২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬ টায় পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে বলেও জানানো হয় পূর্বাভাসে।

আজ ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে বলেও উল্লেখ করা আছে।

এছাড়াও আগামীকাল (শুক্রবার, ২ অক্টোবর) রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এদিকে আগামী শনিবার (২৬ অক্টোবর) খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ দেশের সমতলে আঘাত হানার শঙ্কা নেই

আপডেট সময় : ১১:২৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

যে গতিপথ অনুসরণ করে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ অগ্রসর হচ্ছে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের সমতলে আঘাত হানার কোনো শঙ্কা নেই। তবে এর প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ (বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ ড. বজলুর রশিদ।

বাতাসের শক্তি নিয়ে ঘূর্ণিবায়ুর চক্র ভারতের ওড়িশা উপকূলের দিকে এগোচ্ছে জানিয়ে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, মধ্যরাতের আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বল হয়েছে।

সেই সাথে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশনার কথাও জানান আবহাওয়াবিদ ড. বজলুর রশিদ।

আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. বজলুর রশিদ বলেন, ‘দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে এরমধ্যেই প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব পড়তে শুরু করছে। যার কারণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, তবে অতিভারি বৃষ্টিপাতের শঙ্কা নেই। আজ ও আগামীকাল (শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর) মেঘাচ্ছন্ন আকাশ থাকবে, বৃষ্টি হবে আর শনিবার (২৬ অক্টোবর) আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

মোংলা বন্দর থেকে ৪৮৫ কিলোমিটার, পায়রা থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার ও চট্টগ্রাম থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দূরে ঘূর্ণিঝড় দানা অবস্থান করছে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ এ পরিনত হয়ে গতকাল (বুধবার ,২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬ টায় পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে বলেও জানানো হয় পূর্বাভাসে।

আজ ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে বলেও উল্লেখ করা আছে।

এছাড়াও আগামীকাল (শুক্রবার, ২ অক্টোবর) রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এদিকে আগামী শনিবার (২৬ অক্টোবর) খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।