ঢাকা ১১:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৮-২ এর বদলা বার্সেলোনা নিল ৪-১ গোলের জয়ে

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৫৮:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্ন মিউনিখ এক জুজুর নাম হয়ে উঠেছিল বার্সেলোনার। ২০২০ চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে এক লেগেই কাতালানদের ৮-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বাভারিয়ানরা।

এরপর থেকে এই প্রতিযোগিতায় যতবারই দেখা হয়েছে, অসহায় হার মেনেছে বার্সেলোনা। গতকালের ম্যাচের আগেও তাই শঙ্কা ছিল, মৌসুমে দারুণ ফর্মে থাকলেও মানসিক বাঁধাটা হয়তো কাটিয়ে উঠতে পারবেন না রাফিনিয়ারা। কিন্তু গতকাল বায়ার্ন মিউনিখকে নিয়ে ছেলেখেলা করেছে বার্সেলোনা। বায়ার্নকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে মাদ্রিদের উদ্দেশ্যেও হুংকার ছুড়ে রেখেছে তারা।

২০২০ সালে বার্সেলোনাকে ওভাবে দুমড়ে-মুচড়ে দেওয়ার ম্যাচে বায়ার্নের কোচ ছিলেন হান্সি ফ্লিক। সেই কোচকেই নিজেদের ডাগআউটে টানা লাগল বায়ার্নকে জবাব দিতে। ২০২০ এর ১৫ আগস্টের সেই ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের পর আরও চারবার দেখা হয়েছে দুই দলের।

চার ম্যাচেই বার্সেলোনা হেরেছে। শুধু হারেনি, সর্বশেষ দুই হার বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপপর্ব থেকে ছিটকে পড়ার অচেনা এক স্বাদ উপহার দিয়েছিল।

কিন্তু গতকাল ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোল করে বসেন ফ্লিকের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তেই নিজের জোড়া গোল পেয়ে যান তিনি। মাঝে ৩৬ মিনিটে রবের্ত লেভানদফস্কিও গোল করায় ১৮ মিনিটে হ্যারি কেইন যে একটি গোল শোধ করেছিলেন, তা অনেকেই ভুলে যেতে বসেছিলেন।

দ্বিতীয়ার্ধের ১১ মিনিটেই হ্যাটট্রিক পেয়ে যান রাফিনিয়া। বায়ার্নের ভাগ্য ভালো, এরপর গোলক্ষুধা ফুরিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনার। তবে ২০১৫ সালের পর বায়ার্নের বিপক্ষে প্রথম জয় নিয়ে কোনো সন্দেহ জাগেনি তাতে।

ম্যাচ শেষে তাই তৃপ্তির কথা জানিয়েছেন ফ্লিক, ‘এই জয়টা অবিশ্বাস্য। বায়ার্ন দারুণ দল, দুর্দান্ত খেলোয়াড় আছে ওদের যারা জানে কীভাবে ভালো খেলতে হয়, আপনি যাদের খেলা দেখতে চাইবেন। এমন ম্যাচ জিতলে উদ্‌যাপন করতেই হয়। এই ম্যাচ আগামী শনিবারের ম্যাচ নিয়ে আমাদের মান নিয়ে আত্মবিশ্বাস জোগায়।’

আগামী শনিবার লা লিগায় রেয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। লিগে মাদ্রিদের চেয়ে ৩ পয়েন্ট এগিয়ে আছে কাতালানরা। তাই এ ম্যাচ জিতলে শিরোপা দৌড়ে বেশ এগিয়ে যাবেন ফ্লিক।

গত পরশু আরেক জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও ৫-২ ব্যবধানের জয় পেয়েছে মাদ্রিদ। একদিন বাড়তি বিশ্রামও পাচ্ছে তারা। ফ্লিক এ নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন না, ‘ক্লাসিকোর জন্য মাদ্রিদের চেয়ে একদিন কম সময় পাচ্ছি কিন্তু সব খেলোয়াড় এই ম্যাচ খেলতে চায়। আমরা প্রস্তুত থাকব।’

গত দুই মৌসুমে বার্সেলোনার জার্সিতে খুব একটা আলো ছড়াতে পারেননি রাফিনিয়া। দুই মৌসুমে করেছিলেন মাত্র ১০ গোল। গত মৌসুমে শেষ দিকে গুরুত্বও হারিয়ে ফেলেছিলেন একাদশে। মানসিকভাবে যে খুব বাজে সময় কাটাচ্ছিলেন সেটা নিজেই জানিয়েছেন। সেই রাফিনিয়া এই মৌসুমের এক তৃতীয়াংশ না যেতেই করে ফেলেছেন ১০ গোল।

এর রহস্য বলতে গিয়ে ফ্লিক যা বলেছেন, তাতে সাবেক কোচ শাভি এরনান্দেস খোঁচা অনুভব করতে পারেন, ‘একজন খেলোয়াড় কীভাবে একটা দলকে কাজ করাতে পারে তার খুব ভালো উদাহরণ রাফিনিয়া। সে ম্যাচে ও অনুশীলনে সবসময় ভালো মানসিকরা দেখায়। সে যেভাবে কাউন্টার অ্যাটাকিং প্রেস করে আমাদের জন্য সে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওর ভালো টেকনিক আছে এবং আক্রমণ ও রক্ষণ ডায়নামিক অনন্য। ওর মতো খেলোয়াড় আমি কখনো পাইনি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

৮-২ এর বদলা বার্সেলোনা নিল ৪-১ গোলের জয়ে

আপডেট সময় : ০২:৫৮:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্ন মিউনিখ এক জুজুর নাম হয়ে উঠেছিল বার্সেলোনার। ২০২০ চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে এক লেগেই কাতালানদের ৮-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বাভারিয়ানরা।

এরপর থেকে এই প্রতিযোগিতায় যতবারই দেখা হয়েছে, অসহায় হার মেনেছে বার্সেলোনা। গতকালের ম্যাচের আগেও তাই শঙ্কা ছিল, মৌসুমে দারুণ ফর্মে থাকলেও মানসিক বাঁধাটা হয়তো কাটিয়ে উঠতে পারবেন না রাফিনিয়ারা। কিন্তু গতকাল বায়ার্ন মিউনিখকে নিয়ে ছেলেখেলা করেছে বার্সেলোনা। বায়ার্নকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে মাদ্রিদের উদ্দেশ্যেও হুংকার ছুড়ে রেখেছে তারা।

২০২০ সালে বার্সেলোনাকে ওভাবে দুমড়ে-মুচড়ে দেওয়ার ম্যাচে বায়ার্নের কোচ ছিলেন হান্সি ফ্লিক। সেই কোচকেই নিজেদের ডাগআউটে টানা লাগল বায়ার্নকে জবাব দিতে। ২০২০ এর ১৫ আগস্টের সেই ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের পর আরও চারবার দেখা হয়েছে দুই দলের।

চার ম্যাচেই বার্সেলোনা হেরেছে। শুধু হারেনি, সর্বশেষ দুই হার বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপপর্ব থেকে ছিটকে পড়ার অচেনা এক স্বাদ উপহার দিয়েছিল।

কিন্তু গতকাল ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোল করে বসেন ফ্লিকের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তেই নিজের জোড়া গোল পেয়ে যান তিনি। মাঝে ৩৬ মিনিটে রবের্ত লেভানদফস্কিও গোল করায় ১৮ মিনিটে হ্যারি কেইন যে একটি গোল শোধ করেছিলেন, তা অনেকেই ভুলে যেতে বসেছিলেন।

দ্বিতীয়ার্ধের ১১ মিনিটেই হ্যাটট্রিক পেয়ে যান রাফিনিয়া। বায়ার্নের ভাগ্য ভালো, এরপর গোলক্ষুধা ফুরিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনার। তবে ২০১৫ সালের পর বায়ার্নের বিপক্ষে প্রথম জয় নিয়ে কোনো সন্দেহ জাগেনি তাতে।

ম্যাচ শেষে তাই তৃপ্তির কথা জানিয়েছেন ফ্লিক, ‘এই জয়টা অবিশ্বাস্য। বায়ার্ন দারুণ দল, দুর্দান্ত খেলোয়াড় আছে ওদের যারা জানে কীভাবে ভালো খেলতে হয়, আপনি যাদের খেলা দেখতে চাইবেন। এমন ম্যাচ জিতলে উদ্‌যাপন করতেই হয়। এই ম্যাচ আগামী শনিবারের ম্যাচ নিয়ে আমাদের মান নিয়ে আত্মবিশ্বাস জোগায়।’

আগামী শনিবার লা লিগায় রেয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। লিগে মাদ্রিদের চেয়ে ৩ পয়েন্ট এগিয়ে আছে কাতালানরা। তাই এ ম্যাচ জিতলে শিরোপা দৌড়ে বেশ এগিয়ে যাবেন ফ্লিক।

গত পরশু আরেক জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও ৫-২ ব্যবধানের জয় পেয়েছে মাদ্রিদ। একদিন বাড়তি বিশ্রামও পাচ্ছে তারা। ফ্লিক এ নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন না, ‘ক্লাসিকোর জন্য মাদ্রিদের চেয়ে একদিন কম সময় পাচ্ছি কিন্তু সব খেলোয়াড় এই ম্যাচ খেলতে চায়। আমরা প্রস্তুত থাকব।’

গত দুই মৌসুমে বার্সেলোনার জার্সিতে খুব একটা আলো ছড়াতে পারেননি রাফিনিয়া। দুই মৌসুমে করেছিলেন মাত্র ১০ গোল। গত মৌসুমে শেষ দিকে গুরুত্বও হারিয়ে ফেলেছিলেন একাদশে। মানসিকভাবে যে খুব বাজে সময় কাটাচ্ছিলেন সেটা নিজেই জানিয়েছেন। সেই রাফিনিয়া এই মৌসুমের এক তৃতীয়াংশ না যেতেই করে ফেলেছেন ১০ গোল।

এর রহস্য বলতে গিয়ে ফ্লিক যা বলেছেন, তাতে সাবেক কোচ শাভি এরনান্দেস খোঁচা অনুভব করতে পারেন, ‘একজন খেলোয়াড় কীভাবে একটা দলকে কাজ করাতে পারে তার খুব ভালো উদাহরণ রাফিনিয়া। সে ম্যাচে ও অনুশীলনে সবসময় ভালো মানসিকরা দেখায়। সে যেভাবে কাউন্টার অ্যাটাকিং প্রেস করে আমাদের জন্য সে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওর ভালো টেকনিক আছে এবং আক্রমণ ও রক্ষণ ডায়নামিক অনন্য। ওর মতো খেলোয়াড় আমি কখনো পাইনি।’