ইরানের একাধিক সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ১ অক্টোবরের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও তেল আবিবে তেহরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মাসব্যাপী হামলার জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
এ দিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, এই হামলায় তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলা নিয়ে আলোচনা করবেন। মার্কিন একজন কর্মকর্তা বিবিসির ইউএস নিউজ পার্টনারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিবিসি বলছে, শনিবার ভোর থেকে ইরানের একাধিক সামরিক স্থাপনায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর কয়েক ঘণ্টার মাথায় হামলা চালানো শেষ বলে জানিয়েছে দেশটি। তবে এ নিয়ে এখন উত্তপ্ত বিশ্বরাজনীতি।
এরই মধ্যে একটি সূত্র জানিয়েছে, ইরান ইসরায়েলে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। হামলা হবে যেকোনো সময়। তবে ইসরায়েলের বন্ধুরাষ্ট্র আমেরিকা এ নিয়ে ইরানকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরান যদি আবারও জবাব দিতে চায়, তাহলে আমরা প্রস্তুত থাকব এবং ইরানের আবারও পরিণতি ভোগ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র এমনটি দেখতে চায় না।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে হওয়া এই যুদ্ধ শেষ হওয়া উচিত। ওয়াশিংটন লেবাননে যুদ্ধের অবসান নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিতে এবং যুদ্ধবিরতির চেষ্টা করার জন্য প্রস্তুত ছিল। গাজা থেকে ইসরায়েলিদের জিম্মিদের ফেরানো নিয়েও পদক্ষেপে আগ্রহী তারা।
ইরানি বার্তা সংস্থা ইরনা বলছে, দেশটির রাজধানী তেহরান ও কারাজ শহরে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এখনও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ইসরায়েলের বিমান হামলা নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ইরান।
এর আগে, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া ও লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ প্রধানকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় ১ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রায় দুই শ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তেহরানের হামলার প্রতিশোধমূলক হামলার পরিকল্পনা করে আসছিল তেল আবিব। তবে ইরানের তেল ও পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার পরিকল্পনায় সমর্থন দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।