অক্টোবরের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও তেল আবিবে তেহরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মাসব্যাপী হামলার জবাবে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। শনিবারের এই হামলায় দুই ইরানি সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, শনিবার ভোর থেকে ইরানের একাধিক সামরিক স্থাপনায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর কয়েক ঘণ্টার মাথায় হামলা চালানো শেষ বলে জানিয়েছে তারা। তবে এ নিয়ে এখন উত্তপ্ত বিশ্বরাজনীতি।
এরই মধ্যে একটি সূত্র জানিয়েছে, ইরান ইসরায়েলে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। হামলা হবে যেকোনো সময়। তবে ইসরায়েলের বন্ধুরাষ্ট্র আমেরিকা এ নিয়ে ইরানকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরান যদি আবারও জবাব দিতে চায়, তাহলে আমরা প্রস্তুত থাকব এবং ইরানের আবারও পরিণতি ভোগ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র এমনটি দেখতে চায় না।
ইরানে ইসরায়েলি এই হামলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিক্রিয়া আসছে। এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান ও সৌদি আরব। শনিবার তারা এই প্রতিক্রিয়া জানায়। ইরানের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে পাকিস্তানের। আর দেশটি আমেরিকার ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত। এমনকি ইসরায়েলও তাদের ‘মিত্র’ হিসেবেই পরিচিত।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে পাকিস্তান। এই হামলা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথকে ক্ষুন্ন করে এবং ইতিমধ্যে এই অঞ্চলে তৈরি হওয়া উত্তেজনা বেড়ে গেল। এর জন্য ইসরায়েল দায়ী।’
সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সৌদি আরব ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাচ্ছে। এই অঞ্চলে উত্তেজনা প্রতিরোধে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলে।’ এই হামলার নিন্দা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এবং ইরাকও।
তবে আমেরিকা বলছে, তারা এই হামলায় জড়িত নয়। আগের হামলার জবাবে ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে। আর যুক্তরাজ্য বলছে, এই হামলার অধিকার রয়েছে ইসরায়েলের।