বাংলাদেশের ফুটবলে গত ২-৩ বছরের সাফল্যের তালিকা করতে গেলে নারী ফুটবল দলের নামই আসবে। সাবিনা খাতুনদের হাত ধরে সাফ জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু বাফুফেতে তাঁদের মূল্যায়ন নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন উঠে। তবে এবার বাফুফের এজিএম ও নির্বাচনের আগে জানা গেল অবাক করার মতো তথ্য।
বর্তমানে নেপালের কাঠমান্ডুতে সাফ খেলছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। আর এদিকে বাফুফের বিলাসী এজিএম ও নির্বাচন চলছে রাজধানীর পাঁচ তারকা একটি হোটেলে।
সাফের টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ আগামীকাল ভুটানের বিপক্ষে লড়বে। তবে সাবিনাদের ট্রফি জয়ের মিশনের আগে জানা গেছে বিস্ময়কর এক তথ্য। অক্টোবর শেষ হতে বসেছে, অথচ গত মাসের বেতনই পাননি সাবিনা খাতুনরা। শুধু তা-ই নয়, মে ও জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত চারটি ম্যাচের ম্যাচ ফিও এখনো বুঝে পাননি নারী দলের ফুটবলাররা।
দেশের জন্য সফলতা এনে দেওয়া নারী ফুটবলারদের বেতন বকেয়া রেখে বাফুফে আয়োজন করেছে বিলাসী এজিএমের। প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে করা হচ্ছে নির্বাচনী সাধারণ সভা।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আসন্ন সভাপতি নির্বাচনের উপলক্ষ্যে কাউন্সিলরদের যথাসাধ্য মনোরঞ্জের চেষ্টাও করেছে বাফুফে। ২০২৪ সালের বাফুফে নির্বাচনে কাউন্সিলর সংখ্যা ১৩৩। ভোটিং কাউন্সিলর ছাড়াও আরো কয়েকটি নন-ভোটিং ডেলিগেট রয়েছে।
আজ অনুষ্ঠিত এজিএমে অংশ নেয়া প্রত্যেকে দশ হাজার টাকা টিএ বাবদ সম্মানী গ্রহণ করবেন। গতকাল রাতে তাদের জন্য হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আবাসনের ব্যবস্থাও করেছে ফেডারেশন। কাউন্সিলর ও নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তাদের জন্য রুম ভাড়ায় ব্যয় হচ্ছে ১১ লাখেরও বেশি।
হিসেব করে দেখা গেছে আবাসন ও অ্যালাউন্স মিলিয়ে একজন কাউন্সিলরের পেছনে বাফুফের খরচ প্রায় ২০ হাজার টাকার উপর।
বাফুফের এমন বিলাসবহুল নির্বাচনের আয়োজন ফেডারেশনের পরবর্তী কার্যক্রমের গতি আনার ধারা। কিন্তু নারী ফুটবলারদের বকেয়া রেখে এমন আয়োজন মাঠের সাফল্যে ফেডারেশনের আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।