ঢাকা ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সমান’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:৩১:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৫২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সমান। প্রত্যেকের স্বাধীনভাবে ধর্মপালন, ধর্মচর্চা ও প্রচারের অধিকার রয়েছে। এ অধিকার যাতে কেউ বিঘ্নিত করতে না পারে সে বিষয়ে সরকার সতর্ক রয়েছে। কোনো দুর্বৃত্তকে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার সুযোগ সরকার দেবে না।’

আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি: বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। ‘সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি’- এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে এফসিডিওর সহযোগিতায় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এই জাতীয় সংলাপের আয়োজন করে।

এ সময় খালিদ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি বৈচিত্র্যময় দেশ। এদেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে। দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য এ সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আবহমানকাল থেকেই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে বিভিন্ন ধর্ম ও গোত্রের মানুষ সুপ্রাচীন কাল থেকেই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে আসছে। জাতি হিসেবে আমাদের যা কিছু অর্জন তার পেছনে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও অবদান রয়েছে।’

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ঐক্য ও শক্তির প্রতীক উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব পরবর্তী প্রেক্ষাপটে আমরা যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি সেই দেশ গড়তে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।’

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘যারা উপাসনালয়ে হামলা করে পরিবেশ বিঘ্নিত করতে চায়, তারা দুর্বৃত্ত। তাদের কোনো ধর্মীয় পরিচয় নেই।’

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, শান্তি, সামাজিক সংহতি ও শক্তিশালী জাতীয় পরিচয় গড়ে তোলার জন্য ধর্মীয় সম্প্রীতি অপরিহার্য। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, টালিথাকুমি চার্চের বিশপ ফিলিপ পি অধিকারী ও বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সুনন্দপ্রিয়।

এ সংলাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মামুন আল মোস্তফা ‘বাংলাদেশের ধর্ম ও সংস্কৃতি : ঐতিহ্য, সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার নিউমারারি শিক্ষক প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের পরিচালক মুহাম্মদ রফিক-উল-ইসলাম ও এজেন্ট অব চেঞ্জ: এ বাংলাদেশ ফ্রিডম অফ রিলিজিয়ন অর বিলিফ লিডারশিপ ইনিশিয়েটিভ প্রজেক্টের প্রোগ্রাম অ্যাডভাইজার ড. শাহনাজ করীম অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় ও শ্রেণি-পেশার শতাধিক মানুষ সংলাপে অংশগ্রহণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সমান’

আপডেট সময় : ০৮:৩১:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সমান। প্রত্যেকের স্বাধীনভাবে ধর্মপালন, ধর্মচর্চা ও প্রচারের অধিকার রয়েছে। এ অধিকার যাতে কেউ বিঘ্নিত করতে না পারে সে বিষয়ে সরকার সতর্ক রয়েছে। কোনো দুর্বৃত্তকে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার সুযোগ সরকার দেবে না।’

আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি: বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। ‘সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি’- এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে এফসিডিওর সহযোগিতায় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এই জাতীয় সংলাপের আয়োজন করে।

এ সময় খালিদ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি বৈচিত্র্যময় দেশ। এদেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে। দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য এ সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আবহমানকাল থেকেই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে বিভিন্ন ধর্ম ও গোত্রের মানুষ সুপ্রাচীন কাল থেকেই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে আসছে। জাতি হিসেবে আমাদের যা কিছু অর্জন তার পেছনে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও অবদান রয়েছে।’

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ঐক্য ও শক্তির প্রতীক উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব পরবর্তী প্রেক্ষাপটে আমরা যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি সেই দেশ গড়তে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।’

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘যারা উপাসনালয়ে হামলা করে পরিবেশ বিঘ্নিত করতে চায়, তারা দুর্বৃত্ত। তাদের কোনো ধর্মীয় পরিচয় নেই।’

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, শান্তি, সামাজিক সংহতি ও শক্তিশালী জাতীয় পরিচয় গড়ে তোলার জন্য ধর্মীয় সম্প্রীতি অপরিহার্য। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, টালিথাকুমি চার্চের বিশপ ফিলিপ পি অধিকারী ও বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সুনন্দপ্রিয়।

এ সংলাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মামুন আল মোস্তফা ‘বাংলাদেশের ধর্ম ও সংস্কৃতি : ঐতিহ্য, সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার নিউমারারি শিক্ষক প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের পরিচালক মুহাম্মদ রফিক-উল-ইসলাম ও এজেন্ট অব চেঞ্জ: এ বাংলাদেশ ফ্রিডম অফ রিলিজিয়ন অর বিলিফ লিডারশিপ ইনিশিয়েটিভ প্রজেক্টের প্রোগ্রাম অ্যাডভাইজার ড. শাহনাজ করীম অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় ও শ্রেণি-পেশার শতাধিক মানুষ সংলাপে অংশগ্রহণ করেন।