ঢাকা ০৬:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৯:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

১২৩ ভোট পেয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তাবিথ আউয়াল। তার প্রতিদ্বন্দ্বী দিনাজপুরের তৃণমূল সংগঠক এফ এম মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৫ ভোট। আজ (শনিবার, ২৬ অক্টোবর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতি পদে তাবিথ আউয়ালকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। ১৩৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১২৮ জন। ৫ জন আসেননি বলে নির্বাচন কমিশন থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বাফুফে নির্বাচন ২০২৪ এ মোট ১৩৩ ভোটের মধ্যে ১২৮টি ভোট পড়েছে। ৫ জন ভোটার ভোট দিতে আসেন নাই। এর মধ্যে তাবিথ আউয়াল ১২৩ ভোট পেয়েছেন। এফ এম মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৫ ভোট।’

সিনিয়র সহসভাপতি পদে একমাত্র প্রার্থী ইমরুল হাসান। প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় এই পদে কোনো নির্বাচন হয় নি। যে কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বসুন্ধরা কিংসের এই শীর্ষ কর্তা সহসভাপতি হয়েছেন। এছাড়াও সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিতরা হলেন নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, সাব্বির আহম্মেদ আরেফ ও ফাহাদ করিম।

বাফুফে সহ-সভাপতি নির্বাচনে সাধারণত দলীয় শক্তি ও আর্থিক সক্ষমতা বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। এবারের নির্বাচনেও তা আরও একবার প্রমাণিত হলো। ফুটবল ফেডারেশনে এসেই প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছে চার প্রার্থী।

প্রথম সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয় যশোরের শুমসুল হুদা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা শাহরিয়ার জাহেদী পেয়েছেন ১১৫ ভোট। বাফুফে সহ-সভাপতি নির্বাচনে এর আগে কেউ একশ ভোট পাননি। জাহেদীর একাডেমি থেকে জাতীয় দল ও প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলছেন অনেকে। তৃণমূলের এই সংগঠক এবার বাফুফে নির্বাচনে বাজিমাত করেছেন।

ভোটে দ্বিতীয় হওয়া লক্ষীপুর জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কাউন্সিলর ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি পেয়েছেন ১০৮ ভোট। তিনি বিএনপির সাবেক এমপি শহিদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানির বড় ভাই। ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষ পর্যায়ে পরিচিতি না থাকলেও তিনি ভোটে দ্বিতীয় হয়েছেন৷

ব্রাদার্স ইউনিয়নের সদস্য সচিব সাব্বির আরেফ ৯০ ভোট পেয়ে তৃতীয় ও ফাহাদ করিম ৮৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন। অন্যদিকে কিংবদন্তি ফুটবলার সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির ৬৬ এবং আরেক সাবেক ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক পেয়েছেন ৪২ ভোট। সাব্বির ২০১৬ সালে সহ-সভাপতি পদে এবং মানিক ২০২০ সালে সভাপতি পদে হেরেছিলেন।

১৩৩ ভোটারের মধ্যে ১২৮ জন কাউন্সিলর ভোট দিয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে একটি ব্যালট বাদ হয়েছে। এখন সদস্য পদের গণনা চলছে। এই গণনা শেষ হতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাগবে৷

১৫ নির্বাহী সদস্যের বিপরীতে এবার লড়ছেন ৩৭ প্রার্থী। এর মধ্যে আগের কমিটির ছিলেন ৮ জন।

১৯৯৮ সাল থেকে নির্বাচনী ব্যবস্থা শুরু হয়। এসএ সুলতান বাফুফের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি। কাজী সালাউদ্দিন ছিলেন দ্বিতীয়। এই ফুটবলার ৪ মেয়াদে বাফুফের সভাপতি ছিলেন। এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি তিনি।

তাবিথ বাফুফের তৃতীয় নির্বাচিত সভাপতি। তবে ভোটের হিসেবে তিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে তাবিথ আউয়াল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল

আপডেট সময় : ০৮:৫৯:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

১২৩ ভোট পেয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তাবিথ আউয়াল। তার প্রতিদ্বন্দ্বী দিনাজপুরের তৃণমূল সংগঠক এফ এম মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৫ ভোট। আজ (শনিবার, ২৬ অক্টোবর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতি পদে তাবিথ আউয়ালকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। ১৩৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১২৮ জন। ৫ জন আসেননি বলে নির্বাচন কমিশন থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বাফুফে নির্বাচন ২০২৪ এ মোট ১৩৩ ভোটের মধ্যে ১২৮টি ভোট পড়েছে। ৫ জন ভোটার ভোট দিতে আসেন নাই। এর মধ্যে তাবিথ আউয়াল ১২৩ ভোট পেয়েছেন। এফ এম মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৫ ভোট।’

সিনিয়র সহসভাপতি পদে একমাত্র প্রার্থী ইমরুল হাসান। প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় এই পদে কোনো নির্বাচন হয় নি। যে কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বসুন্ধরা কিংসের এই শীর্ষ কর্তা সহসভাপতি হয়েছেন। এছাড়াও সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিতরা হলেন নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, সাব্বির আহম্মেদ আরেফ ও ফাহাদ করিম।

বাফুফে সহ-সভাপতি নির্বাচনে সাধারণত দলীয় শক্তি ও আর্থিক সক্ষমতা বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। এবারের নির্বাচনেও তা আরও একবার প্রমাণিত হলো। ফুটবল ফেডারেশনে এসেই প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছে চার প্রার্থী।

প্রথম সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয় যশোরের শুমসুল হুদা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা শাহরিয়ার জাহেদী পেয়েছেন ১১৫ ভোট। বাফুফে সহ-সভাপতি নির্বাচনে এর আগে কেউ একশ ভোট পাননি। জাহেদীর একাডেমি থেকে জাতীয় দল ও প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলছেন অনেকে। তৃণমূলের এই সংগঠক এবার বাফুফে নির্বাচনে বাজিমাত করেছেন।

ভোটে দ্বিতীয় হওয়া লক্ষীপুর জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কাউন্সিলর ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি পেয়েছেন ১০৮ ভোট। তিনি বিএনপির সাবেক এমপি শহিদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানির বড় ভাই। ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষ পর্যায়ে পরিচিতি না থাকলেও তিনি ভোটে দ্বিতীয় হয়েছেন৷

ব্রাদার্স ইউনিয়নের সদস্য সচিব সাব্বির আরেফ ৯০ ভোট পেয়ে তৃতীয় ও ফাহাদ করিম ৮৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন। অন্যদিকে কিংবদন্তি ফুটবলার সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির ৬৬ এবং আরেক সাবেক ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক পেয়েছেন ৪২ ভোট। সাব্বির ২০১৬ সালে সহ-সভাপতি পদে এবং মানিক ২০২০ সালে সভাপতি পদে হেরেছিলেন।

১৩৩ ভোটারের মধ্যে ১২৮ জন কাউন্সিলর ভোট দিয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে একটি ব্যালট বাদ হয়েছে। এখন সদস্য পদের গণনা চলছে। এই গণনা শেষ হতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাগবে৷

১৫ নির্বাহী সদস্যের বিপরীতে এবার লড়ছেন ৩৭ প্রার্থী। এর মধ্যে আগের কমিটির ছিলেন ৮ জন।

১৯৯৮ সাল থেকে নির্বাচনী ব্যবস্থা শুরু হয়। এসএ সুলতান বাফুফের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি। কাজী সালাউদ্দিন ছিলেন দ্বিতীয়। এই ফুটবলার ৪ মেয়াদে বাফুফের সভাপতি ছিলেন। এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি তিনি।

তাবিথ বাফুফের তৃতীয় নির্বাচিত সভাপতি। তবে ভোটের হিসেবে তিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে তাবিথ আউয়াল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।