জাতি গঠনের সুযোগ নষ্ট হলে বাংলাদেশ পিছিয়ে যাবে: প্রধান উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৩:৫৪:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতি গঠনের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তা ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিতে হবে। এই সুযোগ নষ্ট হলে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে যাবে। রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে বাহিনী দুটির নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে তিনি একথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ফলে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমান রাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুই বাহিনীর পর্ষদ গঠিত হয়। জাতির এই অগ্রযাত্রায় নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী বরাবরের মতো দক্ষতার সঙ্গে জনগণের পাশে থাকবে বলে আশা করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বিগত দিনে যেমন সহযোগিতা পেয়েছে আগামীতেও যেন জনগণ তা পায় এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। তাই দক্ষ নেতৃত্ব দিতে এবারের পরিচালনা পর্ষদকে তা সঠিকভাবে পালনের আহ্বানও জানান তিনি।
নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয় উল্লেখ করে ভবিষ্যতে এ ধারা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। সশস্ত্র বাহিনীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি নানা প্রতিকূলতা মধ্যেও আপনারা যেভাবে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন, তা প্রকৃতপক্ষে পেশাদারিত্ব বহন করে। ভবিষ্যতেও সেটা বজায় থাকবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস রাখি।
এর আগে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করায় নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী প্রধান প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
‘নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয় বিষয়ক বিশেষ সহকারী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং প্রতিরক্ষা সচিব উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর উপস্থিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছবি তোলেন এবং পরিদর্শন বইয়ে তার মূল্যবান মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন। পরবর্তী সময় তিনি বিমান বাহিনী সদর দপ্তর প্রাঙ্গনে একটি ফলজ বৃক্ষের চারা রোপণ করেন।