সুদানের আলজাজিরা রাজ্যের একটি গ্রামে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) হামলায় অন্তত ১২৪ জন নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার এ হামলা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত ১৮ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলা ঘটনা ছিল এটি।
গতকাল শনিবার ওয়াদ মাদানি রেজিস্ট্যান্স কমিটি জানায়, আলজাজিরা রাজ্যের আল-সিরেহা গ্রামে গত শুক্রবারের হামলায় ১২৪ জন নিহত হওয়ার পাশপাশি অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছেন।
তবে সেনাবাহিনী ও আরএসএফ এ হামলার ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, শতাধিক মরদেহ জড়ো করা হয়েছে এবং গণকবর খোঁড়া হচ্ছে।
এর আগে গত শুক্রবার আরএসএফ এ হামলার ব্যাপারে পূর্বাভাস দিয়েছিল। তারা এক বিবৃতিতে বলেছিল, সেনাবাহিনী জাজিরা অঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকদের অস্ত্র দিচ্ছে, যার প্রতিক্রিয়ায় তারা হামলা চালাতে পারে।
গত সপ্তাহের শুরুর দিকে সুদান সরকার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নতুন প্রমাণ উপস্থাপন করে বলেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত আরএসএফকে অস্ত্র দিচ্ছে এবং সমর্থন করছে। আর এ কারণে দেশটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। অবশ্য আরএসএফকে সমর্থন করার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর দক্ষিণ খার্তুমে আরএসএফ অধিকৃত প্রধান ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় সুদানের সেনাবাহিনী। এ হামলায় অন্তত ২৩ জন নিহত ও ৪০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়।
গত বছরের এপ্রিল থেকে গৃহযুদ্ধ চলছে আফ্রিকার এই দেশটিতে। আরএসএফ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে টানা ১৮ মাসের এই সংঘাতে দেড় লাখ মানুষ নিহত হয়েছে বলে ধারণা জাতিসংঘের। এ ছাড়া এই সংঘাত সুদানের জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশকে বাস্তুচ্যুত করেছে। আরএসএফ এবং সুদানের সশস্ত্র বাহিনী উভয়ের বিরুদ্ধেই নৃশংসতার অভিযোগ আনা হয়েছে।