সম্প্রতি মধ্যরাতে ফেসবুক লাইভে এসে ভূতের আতঙ্কে আছেন বলে জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। পরে জানা গিয়েছিল, সেটি মূলত তাঁর একটি আসন্ন ওয়েব ফিল্মের প্রচার কৌশল। এবার ‘বিভাবরী’ নামের সেই ভৌতিক গল্পের সিনেমাটি আসছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম দীপ্ত প্লে’র পর্দায়। আগামী ৩১ অক্টোবর হ্যালোইনে মুক্তি পাবে এটি।

ওয়েব ফিল্মটি নির্মিত হয়েছে অনীশ দাস অপুর ছোটগল্প ‘মধ্যরাতের খাবার’ অবলম্বনে। পরিচালনা করেছেন টিটো রহমান।

বিভাবরী’র গল্প এগিয়েছে নিম্নবিত্ত ঘরের মেয়ে নীতুকে কেন্দ্র। যে কিনা গ্রাম ছেড়ে পড়াশোনার জন্য শহরে এলেও জীবনযুদ্ধ তার নিত্যসঙ্গী। নিজের থাকা, খাওয়া এবং অসুস্থ মাকে টাকা পাঠানো—ডে কেয়ার সেন্টারে সামান্য বেবি সিটারের কাজ করা আয় দিয়েই তাকে এসব সামলাতে হয়। এমনকি টাকা বাঁচাতে তাকে থাকতে হয় শহরতলীর শেষে একটি পুরনো হোস্টেলে। কিন্তু ইদানীং হোস্টেলে ফেরার নির্জন পথে মাঝেমধ্যে অদ্ভুত ধরনের শব্দ শুনতে পায় নীতু। মনে হয়, কিছু একটা তাকে ফলো করছে। তবে এসবের গুরুত্ব নেই তার জীবনে। বাড়তি আয়ের আশায় একজনের পরামর্শে সে অনলাইনে বেবি সিটিংয়ের পেজ খুলে বসে।

সেই সুবাদেই একদিন কল আসে শহরের আরেকপ্রান্তে, এক বাসায়। বাবা-মা পার্টিতে যায়, আর বাচ্চাকে রাখতে দিয়ে যায় টেক কেয়ারের জন্য। কিন্তু সে জানে না আজকের রাতটি চন্দ্রগ্রহণের রাত। ক্ষুধিত আত্মার রাত। বিশেষত তার মতো গোল্ডেন ব্লাডের কোনো মেয়ের জীবনে কী হতে যাচ্ছে! আর কারাই-বা তাকে ফলো করত নির্জন রাস্তায়!

ওয়েব ফিল্মটির প্রসঙ্গে টিটো রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে মিস্ট্রি বা প্যারানরম্যাল এক্টিভিটি নিয়ে কাজ হলেও নিখাঁদ ভূতের গল্প নিয়ে খুব কম কাজ হয়েছে বা হলেও খুব বেশি মানোত্তীর্ণ হয়নি বলেই মনে হয়েছে। আমাদের চেষ্টা ছিল ভূত নিয়ে সিরিয়াস ধরনের কাজ করা, যেমনটা বাইরের দেশে হয়। ভয়ে আৎকে উঠতে হয়। যদিও আমাদের ইন্ডাস্ট্রি ভূতের গল্প ডিল করার জন্য খুব বেশি প্রস্তুত না, বাজেট, টেকনোলজি, মেকআপ ইত্যাদি ক্ষেত্রে, তবু যা আছে তা নিয়েই আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আপনাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি বিভাবরী দেখতে।’

ফিল্মটিতে সাদিয়া আয়মান ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরেশ যাকের, ফারিহা শামস সেউতি, রোজী সিদ্দিকী ও রিফাহ নাজিবা।