আওয়ামী লীগের ৩টি নির্বাচন অবৈধ চেয়ে হাইকোর্টে সারজিস-হাসনাতের রিট
- আপডেট সময় : ০১:৪৪:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
আওয়ামী লীগের বিগত ৩টি নির্বাচনকে কেন অবৈধ ঘোষনা করা হবে না এবং অবৈধভাবে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো কেন ফিরিয়ে দিবে না সে বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।
আজ (সোমবার, ২৮ অক্টোবর) সকালে এ রিটটি দায়ের করেন তারা। সেইসঙ্গে এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত কেন তাদেরকে সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখা হবে না সে বিষয়ে আরেকটি রিট করা হয়েছে হাইকোর্টে।
সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই দুই ছাত্রনেতার পক্ষে দুটি রিট করা হয়েছে। তাদের পক্ষে রিটের শুনানি করবেন সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম।
তিনি গণমাধ্যমে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য না দিলেও অনানুষ্ঠানিকভাবে জানান, মঙ্গলবার বিষয়টি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে। একইসঙ্গে জানান, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চাওয়া হয়নি তবে আওয়ামী লীগ যাতে আপাতত রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে সেটা চাওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই আগস্টের গণহত্যা ও ছাত্রদের আন্দোলন দমনে বল প্রয়োগে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাসহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অনেকেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। এর আগেও আগস্টে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চেয়ে একটি রিট খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।
এর আগে গত বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুম কেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
এই সম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সকল প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করিয়াছে। এর সাথে আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে।