বিক্ষোভের মুখে বক্তব্য থামিয়ে দিতে বাধ্য হন নেতানিয়াহু
- আপডেট সময় : ০২:২০:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৪২ বার পড়া হয়েছে
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নিহতদের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বিক্ষোভকারীদের ধিক্কারের মুখে পড়েন। রোববার (২৭ অক্টোবর) জেরুজালেমে আয়োজিত ওই স্মরণসভায় দর্শকেরা চিৎকার শুরু করলে নেতানিয়াহু বক্তব্য থামাতে বাধ্য হন। এক ব্যক্তি বারবার চিৎকার করে বলেন, “আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে।”
টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের পরিবারের সদস্যদের শুরুতে বক্তৃতার সুযোগ দেওয়ার কথা না থাকলেও, বিক্ষোভের মুখে তাদের বক্তব্যের সুযোগ দেওয়া হয়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন। ওই সময় ২০০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করা হয়। এর মধ্যে প্রায় ১০০ জন এখনো গাজায় আছেন।
গাজায় থেকে যাওয়া জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য নেতানিয়াহুর প্রশাসনের ওপর জনগণের পাশাপাশি কূটনৈতিক চাপ বাড়ছে।
এদিকে, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে চার ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য গাজায় দুই দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করেছেন। গাজায় চলমান যুদ্ধের অবসানে দোহায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনা চলছে। সিসি এমন সময়ে প্রস্তাবটি দিয়েছেন, যখন গাজায় যুদ্ধ অবসানের চেষ্টায় কাতারের রাজধানী দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিআইএ এবং ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের মধ্যে আলোচনা চলছে।
কায়রোতে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেলমাদজিদ টেবুনের সঙ্গে যৌথভাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন সিসি। সেখানে তিনি বলেন, অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হওয়া উচিত।
চলতি মাসের শুরুর দিকে হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার পর যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য নেতানিয়াহু সরকারের ওপর চাপ বেড়েছে।