আটকে গেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের এমডি নিয়োগ কার্যক্রম
- আপডেট সময় : ১১:০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে
এক সপ্তাহেও বাস্তবায়ন হয়নি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ। পদ্ধতিগত জটিলতায় আটকে গেছে এসব ব্যাংকের এমডি নিয়োগ কার্যক্রম। প্রজ্ঞাপন জারি হলেও নেওয়া হয়নি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর ব্যাংকিং খাতে আনা হয় নানা সংস্কার। বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তনের সঙ্গেই আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শীর্ষ কর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
বেশিরভাগ ব্যাংকে চেয়ারম্যান নিয়োগ হলেও ঝুলে যায় এমডি নিয়োগ। ১৭ অক্টোবর পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক ও চারটি বিশেষায়িত ব্যাংকের এমডি নিয়োগ দেয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। তবে সুপারিশের পরও আটকে যায় রূপালী ব্যাংকের এমডি নিয়োগ। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে সুশাসন নিশ্চিতে উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জাহিদ হোসাইন বলেন, কৃষিতে অর্থায়ন যেন আরও সহজে করা যায় সে লক্ষ্যে কাজের গতি আরও বাড়াতে হবে। এ খাতে সহজে অর্থায়ন করা হলে খুব সহজেই তা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কাজে আসবে।
নিয়ম অনুযায়ী, এমডি নিয়োগের প্রজ্ঞাপনের পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বোর্ডের অনুমোদন নিতে হয়। আবেদন করতে হয় বাংলাদেশ ব্যাংকে। তবে এখন পর্যন্ত সোনালী ছাড়া কোনো ব্যাংকের আবেদন জমা পড়েনি। তাই যোগ দেননি কোনো এমডি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যে আবেদনগুলো পায় সেগুলো এমডি হওয়ার যে যোগ্যতা রয়েছে সেই ফ্রেমে বিচার-বিশ্লেষণ করা হয়ে থাকে। এরপর সেগুলো চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। ১৭ তারিখে সরকার এই নিয়োগ দিলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এ পর্যন্ত একটি আবেদনপত্র এসেছে। সেটি শুধু সোনালী ব্যাংকের জন্য। আবেদনটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাংকের এমডি হিসেবে প্রস্তাবিত অন্তত দুজন বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা বলে অভিযোগ রয়েছে।