ঢাকা ১২:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের পাঁচটি মামলা ছাড়াও মানহানির অভিযোগে করা একটি মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) পৃথক এসব মামলা বাতিল করেন আদালত। ::: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান।

মৌলভীবাজারে সংস্কারের অভাবে সড়কে দুর্ভোগ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:২৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৭০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মৌলভীবাজারের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রায় অর্ধেক রাস্তাই চলাচলের অনুপযোগী। বিশেষ করে কমলগঞ্জ-চম্পারায় রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হলেও নেয়া হয়নি দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ। এতে প্রতি মাসে ঘটছে দুর্ঘটনা, এমনকি ঘটছে প্রাণহানির মতো ঘটনা। যদিও অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তাদের।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ চৌমুহনা থেকে চম্পারায় চা বাগান রাস্তা। দীর্ঘ সাত বছর ধরে সংস্কারবিহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই সড়ক। এতে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। ঘটছে প্রাণহানির মতো ঘটনা।

রাস্তার আদমপুর বাজার অংশের অবস্থা ভয়াবহ। কিছু গর্ত ভরাট করতে ইট-বালু দিলেও চলাচলের অনুপযোগী এই সড়ক। একই অবস্থা জেলার সাত উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলোর। এতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহানোর অভিযোগ স্থানীয়দের।

কমলগঞ্জের আদমপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর মুন্না রানা বলেন, ‘আদমপুর বাজার প্রতি বছর ৫০ থেকে ৫৫ লাখ টাকা রাজস্ব দিলেও গত পাঁচ বছরের মধ্যে বাজারে কোনো প্রকারের উন্নয়নমূলক কাজ দেখা যায়নি।’

অন্যদিকে কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন বলেন, ‘অতি দ্রুত রাস্তার কাজ সম্পন্ন করলে জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘব হবে।’

এদিকে ভানুগাছ-সরইবাড়ি রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার তিন মাস পার না হতেই ধসে গেছে বিভিন্ন অংশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, অনিয়ম ও নিম্ন মানের কাজের কারণেই সড়কের বেহাল দশা। যদিও ঠিকাদারদের দাবি, বিভিন্ন কারণেই ভেঙে যেতে পারে সড়কের বিভিন্ন অংশ।

স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তারা জানান, আগামী ছয় মাসের মধ্যে সড়ক সংস্কারের কাজ শুরুর কথা রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য রাস্তার বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তারা।

মৌলভীবাজার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরদের নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘তাদের কাজ মান সম্মতভাবে হচ্ছে এবং স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে যদি কারও অভিযোগ থাকে সেক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্থানীয়রা শিগগিরই এসব রাস্তা মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারে সংস্কারের অভাবে সড়কে দুর্ভোগ

আপডেট সময় : ০৫:২৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

মৌলভীবাজারের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রায় অর্ধেক রাস্তাই চলাচলের অনুপযোগী। বিশেষ করে কমলগঞ্জ-চম্পারায় রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হলেও নেয়া হয়নি দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ। এতে প্রতি মাসে ঘটছে দুর্ঘটনা, এমনকি ঘটছে প্রাণহানির মতো ঘটনা। যদিও অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তাদের।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ চৌমুহনা থেকে চম্পারায় চা বাগান রাস্তা। দীর্ঘ সাত বছর ধরে সংস্কারবিহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই সড়ক। এতে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। ঘটছে প্রাণহানির মতো ঘটনা।

রাস্তার আদমপুর বাজার অংশের অবস্থা ভয়াবহ। কিছু গর্ত ভরাট করতে ইট-বালু দিলেও চলাচলের অনুপযোগী এই সড়ক। একই অবস্থা জেলার সাত উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলোর। এতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহানোর অভিযোগ স্থানীয়দের।

কমলগঞ্জের আদমপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর মুন্না রানা বলেন, ‘আদমপুর বাজার প্রতি বছর ৫০ থেকে ৫৫ লাখ টাকা রাজস্ব দিলেও গত পাঁচ বছরের মধ্যে বাজারে কোনো প্রকারের উন্নয়নমূলক কাজ দেখা যায়নি।’

অন্যদিকে কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন বলেন, ‘অতি দ্রুত রাস্তার কাজ সম্পন্ন করলে জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘব হবে।’

এদিকে ভানুগাছ-সরইবাড়ি রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার তিন মাস পার না হতেই ধসে গেছে বিভিন্ন অংশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, অনিয়ম ও নিম্ন মানের কাজের কারণেই সড়কের বেহাল দশা। যদিও ঠিকাদারদের দাবি, বিভিন্ন কারণেই ভেঙে যেতে পারে সড়কের বিভিন্ন অংশ।

স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তারা জানান, আগামী ছয় মাসের মধ্যে সড়ক সংস্কারের কাজ শুরুর কথা রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য রাস্তার বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তারা।

মৌলভীবাজার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরদের নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘তাদের কাজ মান সম্মতভাবে হচ্ছে এবং স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে যদি কারও অভিযোগ থাকে সেক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্থানীয়রা শিগগিরই এসব রাস্তা মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।