ঢাকা ১১:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৪৫:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৬০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে আরও একবার সেরার মুকুট মণিক চাকমা-ঋতুপর্ণাদের। নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতলো বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল।

সাফ ফাইনাল উপলক্ষে রঙ্গশালা যেনো মেতেছিল উত্তেজনার উৎসবে। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ-নেপাল দু’দলই একে অন্যের সীমানায় মুহুর্মুহু আক্রমণ করেছে। তবে ধরা দেয়নি সাফল্য। বুধবার (৩০ অক্টোবর) ২-১ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের পক্ষে মনিকা চাকমা ও ঋতুপর্ণা চাকমা গোল করে বাংলাদেশের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। চ্যাম্পিয়ন দলের রুপনা চাকমা আসর সেরা গোলকিপার হয়েছেন। আর আসরের সেরা ফুটবলারের পুরষ্কার জেতেন ঋতুপর্ণা চাকমা।

হিমালয় কন্যার দেশ নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে আরো একবার এমন আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিলেন বাংলাদেশ নারী দলের খেলোয়াড়রা। টানা দ্বিতীয়বার দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট বাংলাদেশ নারী দলের পালকে।

কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চকর ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের উপর শুরু থেকেই আধিপত্য দেখাতে থাকে বাংলাদেশ নারী দল। কখনো উইং, আবার কখনো মাঝমাঠ থেকে আক্রমণের পর আক্রমণে ব্যস্ত রাখে নেপাল দলের রক্ষণভাগকে। ক্রসবারে লেগে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট হয়।

স্বাগতিক নেপালও বেশ কয়েকবার বেকায়দায় ফেলেছিলো বাংলাদেশকে। তবে আসর সেরা গোলকিপার রুপনা চাকমার দক্ষতায় স্বাগতিকরা গোল পায়নি। তাতে খেলার প্রথমার্ধ থাকে গোল শূন্য।

বিরতির পর আরো উজ্জিবিত হয়ে খেলতে থাকে বাংলাদেশ নারী দল। ৫২ মিনিটে দশরথ স্টেডিয়ামের দর্শকদের স্তব্ধ করে বাংলাদেশ দলকে এগিয়ে নেন মনিকা চাকমা। উল্লাসে মেতে ওঠে গ্যালারীতে থাকা লাল সবুজের দর্শকরা।

তবে সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি স্বাগতিক নেপাল। ৫৫ মিনিটে আমিশা কার্কি নেপালকে সমতায় ফেরান। শেষ ১৫ মিনিটে ম্যাচ জমিয়ে তোলে দু’দল। ৮২ মিনিটে চোখ ধাঁধানো এক গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন ঋতুপর্ণা চাকমা। তার এই গোলে গ্যালারীতে উল্লাসের ঢেউ ওঠে।

বাকি সময় কোন দল গোল না পেলে, শিরোপা জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠেন বাংলার অদম্য নারী ফুটবলাররা। আর ৬ বার ফাইনালে উঠেও শিরোপা না জিততে পারার হতাশা সঙ্গী হলো নেপাল দলের।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়েই বাংলাদেশের মেয়েরা প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব পেয়েছিল। আবারও সেই একই প্রতিপক্ষ এবং একই ভেন্যুতে সাবিনা খাতুনের দল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতলো।

অনিয়মিত বেতন-ভাতা। পর্যাপ্ত প্রস্তুতির সুযোগ না পাওয়া কিংবা কোচের সাথে খেলোয়াড়দের মানসিক দ্বন্দ্ব। সব প্রতিবন্ধকতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনল নারী ফুটবলাররা। সাবিনা-ঋতুপর্ণারা ধারাবাহিকতা বজায় রাখছেন কিন্তু বাফুফে কি তাদের সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে ধারাবাহিক? টানা সাফল্যের পর এবার নিশ্চয় টনক নড়বে কর্তৃপক্ষের নাকি ছাদখোলা বাসেই শেষ হবে আনুষ্ঠানিকতা।

নিউজটি শেয়ার করুন

টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ১০:৪৫:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে আরও একবার সেরার মুকুট মণিক চাকমা-ঋতুপর্ণাদের। নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতলো বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল।

সাফ ফাইনাল উপলক্ষে রঙ্গশালা যেনো মেতেছিল উত্তেজনার উৎসবে। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ-নেপাল দু’দলই একে অন্যের সীমানায় মুহুর্মুহু আক্রমণ করেছে। তবে ধরা দেয়নি সাফল্য। বুধবার (৩০ অক্টোবর) ২-১ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের পক্ষে মনিকা চাকমা ও ঋতুপর্ণা চাকমা গোল করে বাংলাদেশের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। চ্যাম্পিয়ন দলের রুপনা চাকমা আসর সেরা গোলকিপার হয়েছেন। আর আসরের সেরা ফুটবলারের পুরষ্কার জেতেন ঋতুপর্ণা চাকমা।

হিমালয় কন্যার দেশ নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে আরো একবার এমন আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিলেন বাংলাদেশ নারী দলের খেলোয়াড়রা। টানা দ্বিতীয়বার দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট বাংলাদেশ নারী দলের পালকে।

কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চকর ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের উপর শুরু থেকেই আধিপত্য দেখাতে থাকে বাংলাদেশ নারী দল। কখনো উইং, আবার কখনো মাঝমাঠ থেকে আক্রমণের পর আক্রমণে ব্যস্ত রাখে নেপাল দলের রক্ষণভাগকে। ক্রসবারে লেগে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট হয়।

স্বাগতিক নেপালও বেশ কয়েকবার বেকায়দায় ফেলেছিলো বাংলাদেশকে। তবে আসর সেরা গোলকিপার রুপনা চাকমার দক্ষতায় স্বাগতিকরা গোল পায়নি। তাতে খেলার প্রথমার্ধ থাকে গোল শূন্য।

বিরতির পর আরো উজ্জিবিত হয়ে খেলতে থাকে বাংলাদেশ নারী দল। ৫২ মিনিটে দশরথ স্টেডিয়ামের দর্শকদের স্তব্ধ করে বাংলাদেশ দলকে এগিয়ে নেন মনিকা চাকমা। উল্লাসে মেতে ওঠে গ্যালারীতে থাকা লাল সবুজের দর্শকরা।

তবে সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি স্বাগতিক নেপাল। ৫৫ মিনিটে আমিশা কার্কি নেপালকে সমতায় ফেরান। শেষ ১৫ মিনিটে ম্যাচ জমিয়ে তোলে দু’দল। ৮২ মিনিটে চোখ ধাঁধানো এক গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন ঋতুপর্ণা চাকমা। তার এই গোলে গ্যালারীতে উল্লাসের ঢেউ ওঠে।

বাকি সময় কোন দল গোল না পেলে, শিরোপা জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠেন বাংলার অদম্য নারী ফুটবলাররা। আর ৬ বার ফাইনালে উঠেও শিরোপা না জিততে পারার হতাশা সঙ্গী হলো নেপাল দলের।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়েই বাংলাদেশের মেয়েরা প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব পেয়েছিল। আবারও সেই একই প্রতিপক্ষ এবং একই ভেন্যুতে সাবিনা খাতুনের দল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতলো।

অনিয়মিত বেতন-ভাতা। পর্যাপ্ত প্রস্তুতির সুযোগ না পাওয়া কিংবা কোচের সাথে খেলোয়াড়দের মানসিক দ্বন্দ্ব। সব প্রতিবন্ধকতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনল নারী ফুটবলাররা। সাবিনা-ঋতুপর্ণারা ধারাবাহিকতা বজায় রাখছেন কিন্তু বাফুফে কি তাদের সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে ধারাবাহিক? টানা সাফল্যের পর এবার নিশ্চয় টনক নড়বে কর্তৃপক্ষের নাকি ছাদখোলা বাসেই শেষ হবে আনুষ্ঠানিকতা।