নিয়মিত দাঁত না মাজলে কী কী ক্ষতি হতে পারে?
- আপডেট সময় : ০১:২৮:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে
দাঁত ভালো রাখতে দাঁত মাজার কোনো বিকল্প নেই। নিয়মিত ব্রাশ করা দৈনন্দিন জীবনের স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলোর একটা। অনেকে প্রতিদিন একবার/দুইবার/তিনবার করে দাঁত ব্রাশ করে থাকেন। আবার এমন অনেকেই আছেন, যারা অনীহার কারণে একবারও দাঁত ব্রাশ করতে চান না।
প্রতিদিন নিয়ম করে ব্রাশ না করলে দাঁতের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন:
মুখে দুর্গন্ধ: যদি নিয়মিত দাঁত ও জিহ্বা পরিষ্কার করা না হয় অর্থাৎ ব্রাশ করা না হয় তাহলে দাঁত ও জিহ্বা ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে। এর ফলে দাঁতের ওপর এক ধরনের আবরণের সৃষ্টি হয়। ফলে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয় ও দাঁত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
মাড়ি থেকে রক্তপাত: নিয়মিত ব্রাশ করলে মাড়ির রক্ত চলাচল সঠিকভাবে ঘটে, যা দাঁতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ব্রাশ না করা হলে তা ব্যাহত হয়। যার ফলে মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে।
দুর্বল দাঁত: দাঁত পরিষ্কার রাখতে না পারলে তা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর বটে। ফলে চোয়ালের হাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং দাঁত ও মাড়ির মধ্যে ফাঁকা স্থান তৈরি হয়। এর ফলে দাঁত দূর্বল হয়ে যায়।
দাঁতে দাগ পড়া: নিয়মিত দাঁত ব্রাশ না করলে দাঁতে দাগ পড়তে পারে। যে খাবার বা পানীয় আমরা গ্রহণ করি তার মাধ্যমে এমনটি হয়। যেমন– রেড ওয়াইন, কফি বা তরকারি। এগুলোর ফলে দাঁতের রঙ কালচে বা হলদে হয়ে যায়।
নিয়মিত দাঁত না মাজলে তার প্রভাব পড়ে শরীরেও। মুখের স্বাস্থ্যবিধির সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে শরীরেরও।
আসুন জেনে নিন, প্রতিদিন দাঁত না মাজলে কী কী শারীরিক সমস্যা দিতে পারে?
ডায়াবেটিস
মুখের ভেতরের সংক্রমণে রক্তে শর্করা বেড়ে যেতে পারে। এতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। মুখের ভিতরের পরিস্থিতির উপর রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য নির্ভর করে।
অন্তঃসত্ত্বাকালীন জটিলতা
দাঁত না মাজার পরিণতি যে কত মারাত্মক হতে পারে, তা উঠে এসেছে বিভিন্ন গবেষণায়। নিয়মিত দাঁত না মাজলে অনেক সময় সময়ের আগে সন্তান জন্মানোর ঝুঁকি থাকে। এমনকি শিশুর ওজন অনেক কম হওয়ারও ভয় থাকে।
হার্টের সমস্যা
দাঁত না মাজার সঙ্গে হার্টের সমস্যার সরাসরি যোগ রয়েছে। দাঁত না মাজলে মুখের ভেতর সংক্রমণ হয়। সংক্রমণের ফলে এক ধরনের টক্সিন নিঃসৃত হয়। যে টক্সিন রক্তের মধ্যে দিয়ে সরাসরি হার্টে গিয়ে পৌঁছায়। এর ফলে হার্ট সংক্রান্ত নানা জটিলতা তৈরি হয়।
সুতরাং এসব সমস্যা এড়াতে প্রতিদিন সকালের নাস্তার পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত দুই মিনিট ধরে দাঁত মাজুন। টুথব্রাশ অবশ্যই সব দাঁত পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে। ব্রাশটিকে ৪৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বাঁকা করতে হবে মাড়ির দাঁত মাজার জন্য।
সামনের দাঁত মাজার সময় মৃদুভাবে গোল গোল করে ঘুরাতে হবে। ব্যবহৃত ব্রাশটি অবশ্যই নরম হতে হবে। খুব জোরে ব্রাশ করা যাবে না। প্রতি তিন মাস পর পর টুথব্রাশ বদলাতে হবে।
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর