সবজির দাম কমায় স্বস্তি ফিরছে উত্তরাঞ্চলে। বগুড়ার হাট বাজারে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মরিচসহ প্রায় সব সবজির দামই কমেছে। কিছু দিনের মধ্যে পুরোদমে সরবরাহ হলে দাম আরো কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। কৃষি বিভাগ বলছে, ভালো ফলনের কারণে লাভবান হচ্ছে কৃষক।
পরিচর্যা শেষে শীতের আগাম সবজি বাজারে এনেছেন অনেক চাষি। কয়েকদিন আগে বেশি দামে বিক্রি হলেও সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম অনেকটাই কমেছে। মহাস্থান পাইকারি সবজি বাজারে মূলা ২০ টাকা, কপি ৫০ টাকা, পটল, করোলা, বেগুন ৩০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কয়েকদিন আগেও মরিচে ঝাঁজ ছিল খুবই বেশি। এখন সেই মরিচ কেজিপ্রতি ৯০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিছুটা কম দামে সবজি বিক্রি হলেও লাভ থাকছে চাষিদের।
দূরদূরান্ত থেকে পাইকারি ক্রেতারা মহাস্থান হাট থেকে সবজি কিনে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান দামে সবজি কিনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন পাইকাররা। তবে দাম একটু কমলে বেচাকেনা এবং লাভ ভালো হবে বলে জানান তারা। পাইকারি ক্রেতারা জানান, আগের চেয়ে বাজার দাম এখন অনেক ভালো আছে।
কিছুদিন পর সরবরাহ বাড়লে ভোক্তারা আরো কম দামে সবজি কিনতে পারবেন। ফলন ভালো হওয়ায় আগাম সবজিতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন বলে দাবি করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মতলুবর রহমান।
বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতলুবর রহমান বলেন, ‘পুরোদমে শাক-সবজি বাজারে চলে আসলে যে অস্থিরতা রয়েছে তা বন্ধ হয়ে যাবে।’
বগুড়ায় এবার ১৩ হাজার ৫শ' হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে দেড় হাজার হেক্টর জমি থেকে আগাম জাতের সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে।