ঢাকা ০২:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৪০:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আজ (বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাপার কার্যালয়ে ছাত্র-শ্রমিক জনতা আগুন ধরিয়ে দেয় বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে।

অগ্নিসংযোগের আগে জাতীয় পার্টি ও ছাত্র-জনতার ব্যানারে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যার পর বিক্ষুব্ধ জনতা জাপা কার্যালয়ে ভাংচুর চালিয়ে পরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এ সময় জাতীয় পার্টির কর্মীরা অভিযোগ করেন, ছাত্র জনতার ব্যানারে আসা মশাল মিছিলটি পার্টি অফিসের সামনে এসে ভাঙচুর চালায়। পরে নেতাকর্মীদের নিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পেটান এবং ধাওয়া দেন পার্টির নেতাকর্মীরা। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে শিক্ষার্থীরা ওই এলাকায় জড়ো হলে সেখানে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।

এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে সরে যান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিজয়নগর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এর আগে টিএসসিতে ছাত্র-জনতার ব্যানারে জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান। একই সাথে আওয়ামী লিগের দোসর বলেও মন্তব্য করেন তারা। শুধু তাই নয় জাতীয় পার্টি এখনো অপরাজনীতি করছে বলেও তারা অভিযোগ করেন।

বক্তব্য শেষে টিএসসি থেকে মশাল মিছিল নিয়ে বিজয় নগরের উদ্দেশে রওনা হয়। পরে জাতীয় পার্টি অফিসের সামনে আসলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে লেখেন, ‘জাতীয় বেইমান এই জাতীয় পার্টি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজয়নগরে আমাদের ভাইদের পিটিয়েছে, অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। এবার এই জাতীয় বেইমানদের উৎখাত নিশ্চিত।’

এরই আধা ঘণ্টা পর আরেক পোস্টে মিছিলের ঘোষণা দিয়ে তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘রাজু ভাস্কর্য থেকে ৮টা ৩০ এ মিছিল নিয়ে আমরা বিজয়নগরে মুভ করবো। জাতীয় বেইমানদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে।’

রাত ৮টার দিকে জাপা কার্যালয়ে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় ফায়ার সার্ভিস। পরে রাত সাড়ে ৮টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী তিনটি গাড়ি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

আপডেট সময় : ১১:৪০:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আজ (বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাপার কার্যালয়ে ছাত্র-শ্রমিক জনতা আগুন ধরিয়ে দেয় বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে।

অগ্নিসংযোগের আগে জাতীয় পার্টি ও ছাত্র-জনতার ব্যানারে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যার পর বিক্ষুব্ধ জনতা জাপা কার্যালয়ে ভাংচুর চালিয়ে পরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এ সময় জাতীয় পার্টির কর্মীরা অভিযোগ করেন, ছাত্র জনতার ব্যানারে আসা মশাল মিছিলটি পার্টি অফিসের সামনে এসে ভাঙচুর চালায়। পরে নেতাকর্মীদের নিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পেটান এবং ধাওয়া দেন পার্টির নেতাকর্মীরা। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে শিক্ষার্থীরা ওই এলাকায় জড়ো হলে সেখানে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।

এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে সরে যান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিজয়নগর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এর আগে টিএসসিতে ছাত্র-জনতার ব্যানারে জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান। একই সাথে আওয়ামী লিগের দোসর বলেও মন্তব্য করেন তারা। শুধু তাই নয় জাতীয় পার্টি এখনো অপরাজনীতি করছে বলেও তারা অভিযোগ করেন।

বক্তব্য শেষে টিএসসি থেকে মশাল মিছিল নিয়ে বিজয় নগরের উদ্দেশে রওনা হয়। পরে জাতীয় পার্টি অফিসের সামনে আসলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে লেখেন, ‘জাতীয় বেইমান এই জাতীয় পার্টি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজয়নগরে আমাদের ভাইদের পিটিয়েছে, অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। এবার এই জাতীয় বেইমানদের উৎখাত নিশ্চিত।’

এরই আধা ঘণ্টা পর আরেক পোস্টে মিছিলের ঘোষণা দিয়ে তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘রাজু ভাস্কর্য থেকে ৮টা ৩০ এ মিছিল নিয়ে আমরা বিজয়নগরে মুভ করবো। জাতীয় বেইমানদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে।’

রাত ৮টার দিকে জাপা কার্যালয়ে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় ফায়ার সার্ভিস। পরে রাত সাড়ে ৮টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী তিনটি গাড়ি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়।